শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি - বারোমাসি শসার জাত

আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এখানে আপনি শসা চাষ পদ্ধতি এবং বারোমাসি শসার জাত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন যদি আপনি শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি বারোমাসি শসার জাত কোনটি তা জানতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন

শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি - বারোমাসি শসার জাত

জি আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এখানে আপনি শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি এবং শশা নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য আমরা এখানে দিয়েছি যদি আপনি শসা চাষ করতে চান তাহলে সূচিপত্র দেখে দেখে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন চলুন যাওয়া যাক

সূচিপত্র:শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি - বারোমাসি শসার জাত 

ভূমিকা

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ সামনে শীতকাল আমরা অনেকেই মনে মনে ভাবছি এই শীতকালীন সময়ে কোন সবজিটা চাষ করা যায় তাদের জন্য আমি বলব এই শীতকালে আপনি শসা চাষ করতে পারেন সেজন্য আজকে আমি শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি এ সম্পর্কে এবং শশা নিয়ে যত কথা আছে সেগুলি আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব তো চলুন শসা নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানি

শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি

এখন আমি আপনাদেরকে শীতকালীন শশা চাষ পদ্ধতি শিক্ষা দিব শীতকালে কিভাবে সহজে শসা চাষ করবেন : প্রথম একটি জমি নির্বাচন করতে হবে এবং জমিতে সুন্দর করে চাষ করতে হবে এরপর ৭ থেকে ১০ দিন জমিনটা ভিজিয়ে রাখবেন এরপরে একটি বড় জায়গা নিয়ে জায়গার মাঝখান দিয়ে শসা ব্রীজ ব্যবহার করতে হবে এবং তারপর একটু জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে এরপরে আবার নালা করে সেখানে শসার বীজ গোপন করতে হবে শীতকালে শসা মাটিতে পড়তে হয় তাহলে বেশি ফায়দা হয়

 যখন আপনি শসা লাগাবেন যদি বেশি করে লাগাইতে চান তাহলে এক বিঘাতে আগে লাগাবেন এবং অন্য এক বিঘাতে কয়েক দিন দেরি করে লাগবে এতে করে আপনার উপকার হবে কখন কোন বাজারে যাবে সে বাজার অনুযায়ী আপনি ব্যস্ত এরপরে গাছগুলোকে শত্রাকের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বাজার থেকে কিছু ওষুধ নিয়ে গিয়ে স্প্রে করতে হবে

বারোমাসি শসার জাত

  • জাতের নাম; বারোমাসি
  • ঠিকানা; লাল তীর সিড
  • বয়সসীমা; ৭৫ থেকে ৮০ দিন
  • উৎপাদন; সেস সহকারে 40 টন কেজি আর সেস ছাড়া জিরো কেজি
  • জাতের বৈশিষ্ট্য; সারা বছর চাষ করতে পারবেন; দীর্ঘদিন ধরে ফল দেয়; ওজন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম; লম্বাতে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার;
  • চাষ পদ্ধতি; এক শতক জমিতে ২ গ্রাম বীজ ব্যবহার করবেন

যেভাবে শসা চাষ করলে শতভাগ সফলতা আসে

আমরা ফসল চাষ করে থাকি বেশি লাভের আশায় এবং সফলতার জন্য তো শসা আমরা যেহেতু চাষ করেছি তো এখন আমরা শসাতে বেশি পরিমাণে ফলন কিভাবে নিয়ে আসবো তা আমি আমাদের মাথায় চিন্তা চিন্তা করার কোনো কারণ নেই আমি আজকে আপনাদেরকে যেভাবে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করার কথা বলব আপনারা সেভাবে প্রয়োগ করবেন ইনশাল্লাহ আপনাদের শসার মধ্যে শতভাগ সফলতা

 আসবে চলুন জানা যাক: শসার গাছ বৃদ্ধির জন্য আমাদেরকে নিয়মিত সার ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটা গাছের গোড়ায় পচা গবর' অর্থাৎ জৈব সার' পচা কচুরিপানা' ইত্যাদি এগুলি পাঁচ থেকে ছয় কেটে দিবেন' এবং ১০০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করবেন' ৬০ থেকে ৭০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করবেন

 ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন এবং ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর প্রতিটা গাছের গোড়ায় ৫০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার দিবে এভাবে যদি আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার শসা চাষের শতভাগ সফলতা আসবে ইনশাল্লাহ

শসাতে কতটুকু সার ব্যবহার করব

বীজ বপন করার পর ১০ থেকে ১৫ দিন পর যখন আসবে তখন প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার ৪০ থেকে ৪৫ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করবে মাটি দেখে স্যার দিবেন যদি মাঠের মধ্যে ভালো শক্তি থাকে তাহলে স্যার একটু কম দিবেন আর যদি সত্যি কম থাকে তাহলে বেশি পরিমাণে সাত দিন এরপরে আপনাকে যে স্থানে চারা লাগিয়েছেন এবং যেটা ফাঁকা রেখেছেন সেখানটা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে

হাইব্রিড শসা চাষ পদ্ধতি

প্রথমে আপনাকে একটি জমি নির্ধারণ করতে হবে এবং এই জমিতে সারি তৈরি করতে হবে এই শুরুতে প্রতি ২ মিটার পর পর প্রতি সারিয়তে একটি করে বীজ বপন করতে হবে এবংচারা গাছ গজানোর পর সুস্থ গাছগুলিকে রেখে অসুস্থ গাছগুলিকে তুলে ফেলতে হবে এবং প্রতিদিন নিয়মিত সেচ দিতে হবে

হাইব্রিড শসা চাষের জন্য আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হল:
বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী যে সমস্ত জায়গাতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে তাপমাত্রা চলে যায় সেখানে শসা চাষ করা মারাত্মক ক্ষতির কাজ ভালো ফলনের জন্য অবশ্যই আপনাকে নিচু জমি হতে হবে যেখানে দিনের বেলায় ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের বেলায় 18 থেকে 20° সেলসিয়াস এবং সব সময় আবহাওয়া সুন্দর থাকা এবং মাটিগুলি দো আঁশ; এবং এটেল দো আঁশ; এ সমস্ত মাটিতে হাইব্রিড শসা অত্যন্ত ভালো হয় তাই যদি আপনারা হাইব্রিড শসা চাষ করতে চান তাহলে

 এইরকম জমি নির্বাচন করতে পারেন
কতটুকু বীজ বপন করবেন: ১ একর জমিতে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম বীজ ব্যবহার করবেন
বীজ বপনের পদ্ধতি: বীজ বপনের জন্য ২৪ ঘন্টা আগে বীজগুলিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে এরপর সেটা কে লাগাতে হবে

এখন আমি আপনাদেরকে সারের পরিমাণটা বলব এক একর জমিতে:

  • গোবর কপোস্ট ৬ টন চাষ শেষ করার পর
  • ইউরিয়া ৩০ কেজি চাষ শেষ করার পর 30 দিন পর দশ কেজি আবারও দিতে হবে এবং ৫০ দিন পর আবারো ১০ কেজি এবং ৮০ দিন পর আবারো ১০ কেজি
  • টিএসপি ৫০ কেজি চার্জ শেষ করার পর
  • এমওপি ৪০ কেজি
  • জিপসাম ৪০ কেজি
  • দস্তা ৪ কেজি
  • বরন চার কেজি ম্যাগনেসিয়াম ৫ কেজি
আরো যে কাজগুলি করতে হবে তাহলে সব সময় আগাছা মুক্ত রাখতে মাটি ভেঙ্গে গেলে মাটি সুন্দরভাবে সেচ দিতে হবে এবং যাতে করে পোকামাকড় না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সাদা মাছি পাতার রস চুষে দুর্বল করে ফেলে গাছকে এজন্য আপনাকে প্রয়োগ করতে ১০ লিটার পানিতে দুই গ্রাম টোপা ম্যাক

. শসার গাছের পাতায় সুরঙ্গ কারী পোকা ধরলে কি করবেন: দেখবেন যখন পাতার মাঝখানে সাদা রংয়ের ডোরাকাটা দাগ হবে তখন বুঝবেন পাতাটাকে পোকায় খেয়ে ফেলেছে তখন ব্যবহার করবেন: লরেন্ট 5 এস জি

শসার গাছের পাতা পাউডারের মতন অনেক সময় সাদা হয়ে যায় এর সাদা হয়ে যাওয়ার কারণে শসার গাছের ক্ষতি হয় ফলন কমে যায় এজন্য ব্যবহার করবেন: প্রকারব ৭২০ এস এল ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি লিটার ব্যবহার করবেন এবং সেসজিম ৫০ ডব্লিউপি ১০ লিটার পানিতে দশ গ্রাম ব্যবহার করবেন

লেখক এর শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আপনারা শীতকালীন শসা চাষ  এবং বারোমাসি শসার জাত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন আশা করছি আপনারা এই তথ্য অনুসারে কাজ করলে উপকৃত হবেন যদি আপনার উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটির কথা অন্যের নিকট ছড়িয়ে দিন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪