মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবন পরিচিতি - দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী

এখানে আপনারা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবন পরিচিতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী এ সম্পর্কিত মূলমূল তথ্যগুলি আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ইনশাআল্লাহ আপনারা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবন পরিচিতি দেলোয়ার হোসেনসম্পর্কে মূল তথ্য গুলো পাবেন

মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এর জীবন পরিচিতি - দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী

আপনি সঠিক কাজ করেছেন আমাদের সূচিপত্র দেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কেননা এ সূচিপত্রের মধ্যে আপনি আসার দ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন যে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবন পরিচিতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী এ সম্পর্কে কি কি তথ্য তুলে ধরা হয়েছে

সূচিপত্র:মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এর জীবন পরিচিতি - দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী

ভূমিকা

আপনারা সঠিক ওয়েবসাইটে এসেছেন এখানে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়েছে তিনি কর্মজীবনে কেমন ছিলেন ছাত্র জীবনে কেমন ছিলেন রাজনৈতিক জীবনে কেমন ছিলেন সেই সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে উপরে আপনারা সব কিছু তথ্য দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী সংক্রান্ত সব তথ্য গুলি এখানে পাবেন

দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জন্ম

দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুর কান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পিতার নাম ইউসুফ সাঈদী যিনি একজন ইসলামী চিন্তাবিদ এবং প্রখ্যাত আলেম ছিলেন মায়ের নাম গুল নাহার বেগম পেশায় তিনি গৃহিণী ছিলেন

সাঈদীর ছাত্র জীবন

আল্লামা দেলোয়ার হোসেন  তার পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক মুক্ত বেরশিক্ষা শেষ তারপরে তিনি খুলনায় চলে যান এবং সেখানে আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেন করেন এরপর ১৯৬২ সালে শরশিনা ক্ষেত আলিয়া মাদ্রাসায় তিনি কামিল পাস করেন এরপর তিনি কামিল পাস করার পর বিভিন্ন ভাষা ধর্ম বিজ্ঞান রাজনীতি অর্থনীতি পররাষ্ট্রনীতি মনোবিজ্ঞান এ বিষয়গুলোতেবিভিন্ন তথ্যের উপর প্রায় পাঁচ বছর অধ্যায়ন করেন

দেলোয়ার হোসেন সাঈদী যেভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন

মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামাতে ইসলামের নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী 14 আগস্ট ২০২৩ আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন ইন্তেকাল করেন ২০১৩ সালে আর মৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ২০১০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তিনি গালাগালি ছিলেন জামাতে ইসলাম এর হয়ে দুই দুইবার সংসদ সদস্য হন তবে এর আগে থেকেই ধর্মীয় বক্তা হিসেবে তার

 বেশ পরিচিতি জিয়ানগরের সাউদখালি গ্রাম আগেই পরিচিত ছিল সাউদখালী হিসেবে তবে এখনো সাউদ খালী হিসেবেই পরিচিত অনেকের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় জিয়া নগরে কি ঘটেছিল তা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে তার একইসঙ্গে বিতর্ক চলছে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে ধর্মীয় মাহফিলের জনপ্রিয় বক্তা থেকে নেতা হয়েছিলেন জামাত ইসলামের এক বহুৎ বড় নেতা ১৯৭১ সালে

 যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় নিজগ্রামেরও খুব কম মানুষ তাকে চিনতেন তিনি জন্মের পর তার এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন দেলোয়ার শিকদার হিসেবে তবে তার পরিবারের লোকেরা এটা অস্বীকার করেছেন যে সিকদার তার উপাধি ছিল না তার ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন সাঈদী হচ্ছে তাদের পরিবারের উপাধি সাউদখালী গ্রামকে এখন সাঈদীর নামের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে সাইদ খালি বলা হচ্ছে দেলোয়ার

 হোসেন সাঈদী বাবা ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ তাদের পরিবার টার নামকরা পরিবার এমনটা ছিল না তাদের ওখানকার লোক বলেন পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া জীবন বৃত্তান্তে পাওয়া যায় কুরআনের দাওয়াত দেওয়া ছিল তার একটা মিশন এমনটাই বলছেন তার ছেলে মাসুদ সাঈদী দেশ জোড়া পরিচিতি বাংলাদেশের মানুষের কাছে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পরিচিতি পান মূলত ৮০ দশকের শুরু থেকে

 দেশের বিভিন্ন এলাকায় তিনি তখন ওয়াজ মাহফিল করতেন ইনি ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমেই দেশ জোড়া পরিচিত পান দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলে মাসুদ সাহেবের দেওয়া তথ্য অনুসারে ১৯৭২ সালে তিনি সর্বপ্রথম পিরোজপুরে মাহফিল করেন এরপর তিনি বিভিন্ন জায়গায় দেশ-বিদেশে মাহফিল করতে থাকেন মজার বিষয় হচ্ছে তিনি যেই মাহফিলে যান না কেন লোকের ঢল নেমে যায় লোকের লোকারণ্য

 হয়ে যায় মানুষ তাকে এতই পছন্দ করত এতই ভালোবাসতো জেনে মানুষ শুনতো যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদে আসছে তখন এ সমস্ত মানুষেরা তার ওয়াজ মাহফিল শোনার জন্য ছুটে আসে ইনার বিরুদ্ধে বৃষ্টি অভিযোগ আনা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় পিরোজপুরে তিনি হত্যা করতেন লোহন করতেন সম্পদ লোশন করতেন এই সমস্ত অপরাধেতিনি জড়িয়ে ছিলেন এই অভিযোগ আনা হয় তবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন ২০১৩ সালে যখন

 উনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তখন তিনি বলেন 1971 সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পিরোজপুরে ছিলেন না তার ভাষ্যমতে ১৯৬৯ থেকে যশোরের এ ব্লকের একটি বাড়িতে বসবাস করতেন তবে একটা মজার বিষয় আমরা জানতে পেরেছি আপনারা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন যে যার ভাইকে হত্যা করার জন্য দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়া হয় সে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সেই হিন্দু দাদা নাম হচ্ছে সুখ রঞ্জন বালি তিনি তার জানাযার সময় বলেন যে তিনি দেখেননি যে তার ভাইকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী হত্যা করেছেন

সাঈদীর কর্মজীবন

লেখাপড়া শেষ করার পর তিনি কর্মজীবনে আসেন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি একটি ব্যবসা করতেন এবার তিনি বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি শুরু করেন কিতাব লেখেন বই লেখেন এর মাঝেই তার শুরু হয় ওয়াজ মাহফিল করা দায়ী ইল্লাল্লাহ তেনার চিন্তা চেতনা ছিল তিনি মানুষদেরকে ইসলামের পথে নিয়ে আসবেন এবং সারা বিশ্বে ইসলাম প্রচার করবেন আল্লাহ তাআলা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি বিভিন্ন

 দেশে গেছেন ইসলাম প্রচার করেছেন এবং তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সর্বপ্রথম হজ কাফেলার সঙ্গে তিনি হজ করেন এবং বিশ্বের মধ্যে কয়েকটি মানুষের মধ্যে যাদের অনুভূতিতে কাবা ঘরের ভিতরে ঢোকার অনুমতি রয়েছে তাদের মধ্যে তিনি একজন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী

রাজনৈতিক জীবন

১৯৭৯ সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম এ সংগঠনে যোগদান করেন এরপর তিনি 1989 সাল জামাত ইসলামের মজলিসে সুরার সদস্য হন এরপর তিনি জামাত ইসলামের নায়েবে আমি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি পিরোজপুর থেকে দুই দুইবার সংসদ সদস্য হন জামাত ইসলামের নমিনেশনে কিভাবে দীর্ঘ রাজনীতি ক্যারিয়ারের তার এলাকার মানুষরা তার উপর অন্তত

 সন্তুষ্ট তার এলাকায় হিন্দু-মুসলিম কোন পার্থক্য ছিল না সকলেই ভাই ভাই ছিল এলাকার লোকদের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি অত্যন্ত বিনয় মানুষ ছিলেন সকলের সাথে মিশতেন হিন্দু মুসলিমকে তিনি বিভেদ করতেন না তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন সংসদ সদস্য থাকাকালীন ইনারএলাকায় প্রচুর পরিমাণে কাজ হয়েছে সকলেই তার সুনাম গায় তিনিও একটা লক্ষ্য ছিল তিনি অভাবমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন গরিব মুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন এবং তিনি সেটাই করেছিলেন তিনি যখন সংসদে বক্তব্য দিতেন তখন তিনি আল্লাহ

 এবং তাঁর রাসূলের নাম স্মরণ করে নিয়ে তারপরে বক্তব্য দিতেন বর্তমানে এধরনের বক্তব্য খুবই শোনা যায় আমরা দেখি যে সংসদ সদস্য যারা থাকেন তারা তার মত এরকম খুতবা নবীর উপর দরুদ এ সমস্ত কিছু পড়ে তারা বক্তব্য শুরু করেনা কিন্তু তিনি করতেন বলা যায় তিনি একজন রাজনৈতিক জীবনের ভিন্ন ছিলেন

দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কারাগারে কেন

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড এবং মা-বোনদের ইজ্জত হরণ সম্পদ লুটপাট কার্যক্রমের সহযোগিতা করার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয় যুদ্ধ অপরাধ হিসেবে এর পরে তার মামলা

 চলতে চলতে ২০১৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় আদালতে আপিল করার পর মৃত্যুদণ্ড শাস্তি কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় অর্থাৎ যতদিন সে বেঁচে থাকবে ততদিন সে কারাগারে থাকবে কোন এসে বের হতে পারবে না তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন

দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বর্তমান বয়স

দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বর্তমান বয়স ৮৩ বছর

দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কিভাবে মৃত্যুবরণ করল

আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী তিনি কারা দ্বন্দ্বিত হওয়ার পর অনেক বড় অসুস্থ হয়ে পড়েন হৃদরোগেআক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনার হৃদয়ে কয়েকটা রিং পরানো আছে তিনি কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েন আবার তিনি সুস্থ হন এভাবে চলতে থাকে অতঃপর তিনি ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে 83 বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন

লেখকের শেষ কথা

আলহামদুলিল্লাহ আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটে সাঈদীর জীবন পরিচিতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জীবনী এই  সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারলেন বিস্তারিত এ ধরনের যদি অন্য কোন প্রশ্ন আপনাদের মনে থাকে কোন কিছু যদি আপনাদের জানার থাকে বোঝার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করবেন

 ইনশাল্লাহ আমরা সে বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরার চেষ্টা করব আমাদের এই ওয়েবসাইটে ইনশাল্লাহ সঠিক তথ্য পাবেন ভাল থাকবেন এবং কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাদেরকে বলবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন নিয়মিত

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪