নতুন ফ্রিজ চালু করার নিয়ম - ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনি যদি নতুন ফ্রিজ চালু করার নিয়ম - ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই লেখাটি শুধুমাত্র আপনার জন্য
আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা অনেকেই ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারি না বা নতুন ফ্রিজ
কিভাবে ব্যবহার করবে সম্পর্কে জানিনা আজকে আমি আপনাদেরকে এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ
তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব যদি আপনারা সম্পূর্ণ তথ্য পেতে চান সূচিপত্র দেখে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন
সূচিপত্রঃ নতুন ফ্রিজ চালু করার নিয়ম - ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
- ভূমিকা
- নতুন ফ্রিজ চালু করার নিয়ম
- ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
- ফ্রিজে কিভাবে খাবার রাখব
- ফ্রিজের রেগুলেটর পাওয়ার কতটুকু রাখবে
- উপসংহার
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমরা বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি এ বর্তমান
তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি হলো ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এটা এসে
মানুষকে অত্যন্ত বিলাসিতা নিয়ে এসেছে আগেকার মানুষ খাবার নষ্ট করে ফেলত বা খাবার
রেখে দেওয়ার মত কোন সিস্টেম ছিল না কিন্তু এর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ এসে মানুষ এখন খাবার রাখতে পারে এবং খাবারটা সতেজ
থাকে যে কোন খাবার ফ্রিজে রেখে দিয়ে অনেক দিন যাবত খেতে পারে তো এখন আমি আপনাদের
সামনে রেফ্রিজারেটর সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন বিস্তারিত জানি
নতুন ফ্রিজ চালু করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আমরা যখন রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বাসা নিয়ে আসব তখন আমাদেরকে কমপক্ষে
চার ঘন্টা ফ্রিজকে দাঁড়িয়ে রাখতে হবে অর্থাৎ সোজাভাবে রাখতে হবে যাতে করে
হিমায়ক কম্প্রেসার এর ভেতর ফেরত যেতে পারে এরপর আপনাকে বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত
করতে হবে বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত
করার পর অন্তত ৫ ঘণ্টা পর আপনি খাবার রাখতে পারবেন এবং আমাদেরকে এটা জেনে
থাকা আবশ্যক যে রেফ্রিজারেটরের পাশে বা ফ্রিজের পাশে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা
থাকতে হবে তার চারপাশেই যাতে করে অতিরিক্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন না হয়
ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
প্রিয় পাঠক ফ্রিজ ব্যবহারের করার সঠিক নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা আমরা যেমন খুশি
তেমন রেখে দিয়ে থাকি এখন আমি আপনাদেরকে একটা ফ্রিজ সঠিকভাবে কিভাবে ব্যবহার করতে
হয় সে বিষয়ে আপনাদেরকে বলবো চলুন আমরা জেনে ফেলঃ
- যখন আমরা ফ্রিজে ডিম দুধ মাখন শরবত ইত্যাদি রাখবো তখন সেটাকে আমরা নির্দিষ্ট স্থানেই রাখবো কারণ সেখানে সেভাবেই প্রসেসিং করার হয়েছে সেখানে যতটুকু তাপমাত্রা দরকার ততটুকুই তাপমাত্রা সেখানে দেওয়া হয়
- আপনি যদি ফ্রিজকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে চান তাহলে কখনোই সেটাকে আড় করে রাখবেন না কারণ এতে করে পাইপ লাইনের তেল চলাচল এ ঘাটতি দেখা যায় যার কারণে ফ্রিজের কাঙ্ক্ষিত শক্তি কমে যায়
- ফ্রিজে বরফ রাখার যে জায়গাটা রয়েছে সেখান থেকে বরফ বের করার জন্য সহজ উপায় হলো ওই ট্রেটা পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখবেন অথবা পানি যেখানে ব্যবহার করেন সেখানে নিয়ে গিয়ে তার ওপরে পানি ছড়িয়ে দিন
- যখন আপনি পানি অথবা সরবত বা দুধ রাখবে তখন কখনোই পূর্ণ করে রাখবেন না বোতলটি পূর্ণ করে রাখবেন না এবং তার মুখী টা সুন্দরভাবে আটকে দিবেন
- আমরা যারা ফ্রিজ ব্যবহার করি তারা অনেকক্ষণ যাবত ফ্রিজকে খুলে রাখি আপনি আপনার ফ্রিজকে ভালো রাখতে চাইলে আধা মিনিটের বেশি আপনার ফ্রিজ খুলে রাখবেন না কারণ খুলে রাখলে বাইরের গরম হাওয়া প্রবেশ করে তাপমাত্রাকে কমিয়ে খাদ্যবস্তুর ওপর প্রভাব ফেলে অর্থাৎ খাদ্যবস্তুগুলি নষ্ট হয়ে যাবে
- আপনার ফেসটা সব সময় ২০০ ভোল্টেজ এ চালাবেন কারণ এর কম বেশি হলে ফ্রিজের মেশিনে চাপ পড়তে পারে
- আপনি যেখানে ফ্রিজটা রাখবেন তার নিচে কাঠের ব্লক অথবা রাবারের কিছু বিছিয়ে রাখবেন এতে করে আপনার কম্প্রেসারের শব্দ খুবই কম শোনা যাবে আর যদি আপনার অজান্তেই সেখানে কোন কারেন্ট লিখেজ এর ব্যবস্থা হয় তাহলে সেখান থেকে আপনি মুক্তি পাবেন
- আপনার ফেসটা রাখবেন ছায়া জায়গায় রোদ্দুরে রাখবেন না কারণ সেখানে সমস্যা হতে পারে
- আপনার ফ্রিজে কখনো যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার খাদ্য ঠিকমতো ঠান্ডা হচ্ছে না তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম থার্মোটেস্ট কে পরীক্ষা করতে হবে এবং অনেক সময় দেখা যায় ফ্রিজে বেশি ঠান্ডা জমে গেলে ঠান্ডা ভাগ কমে যায় অনেক সময় কনডেন্সারের মুখ মোজে গিয়ে পিয়ন গ্যাসের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এজন্য এই সমস্যাটা হতে পারে এমনটি হলে সমস্ত জিনিসপত্র নামিয়ে কুসুম গরম পানি সামান্য পরিমাণে ফ্রিজে ঢেলে রেখে দিয়ে রাখেন এরপর দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যে নলের মুখ খুলে যাবে যদি এরপরও কোন কাজ না হয় তাহলে একজন অভিজ্ঞ মেকানিক কে দেখান
- প্রিয় পাঠক আপনার ফ্রিজটি যদি তাপমাত্রা সঠিকভাবে পেয়ে থাকে এবং সামনের দরজা যদি ঠিকমতো বন্ধ থাকে আর এ সময় যদি আপনার কারেন্ট না থাকে তবুও আপনার রেফ্রিজারেটরকে কমপক্ষে দুই দিন ভালোভাবে রাখতে পারবেন এবং তার মধ্যে খাবার সুন্দরভাবে থাকবে দুইদিন পরে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে
- আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনার ফ্রিজের তাপমাত্রা যেন শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে না নেমে যায় তাহলে আপনার ফ্রিজের সমস্যা হবে
- আমি আপনি যে খাবারটা রান্না করবো ধরুন মাছ মাংস ডালের স্যুপ বা ক্রিম ইত্যাদি জাতীয় খাবার ফ্রিজে যখন আপনি রাখবেন রাখার পরে সেটাকে যখন আপনি বাহির করবেন আবার পুনরায় ফ্রিজে আপনি সেটাকে ঢুকাবেন না যদি আপনি পুনরায় ঢোকার তাহলে ফ্রিজের ঠান্ডায় অর্থাৎ তাপমাত্রার ঘোর ফেরের কারণে এ খাবারগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে এজন্য আপনার পরিমাণ মতো বের করুন পরিমাণ মতো রেখে দেন
- এমন খাবার রাখবেন না যে খাবার থেকে গন্ধ ছড়ায় খারাপ গন্ধ ছড়ায় যার কারণে আপনি যখন ওইটাকে রাখবেন ফ্রিজের মধ্যে যত খাবার রয়েছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- আমরা জানি যে ফ্রিজের ভোল্টেজ প্রায় ওঠানামা করে যার কারণে ফ্রিজের ইঞ্জিনের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে বা ফ্রিজটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি আপনি ফ্রিজকে টিকিয়ে রাখতে চান তাহলে স্টেবিলাইজার ব্যবহার
- আপনি আপনার ফ্রিজকে তিন মাস পর পর ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন বাহিরে এবং ভেতরে সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলবেন এতে করে আপনার ফ্রিজটা ভালো থাকবে
- যদি আপনি ফ্রিজে কাঁচা মাছ মাংস রাখতে চান তাহলে সেটাকে অবশ্যই শুকনো কাপড় দিয়ে সুন্দর করে মুছে রাখবেন
- তরল পদার্থ অফ ফ্রিজে রাখলে অবশ্যই সেটাকে ঢেকে রাখবে অন্যথায় সেটার বাষ্প কনা জমে যাবে
- কোন রকম ফ্রিজে রাখবেন না
- ফ্রিজের মধ্যে কখনোই গরম জিনিস রাখবেন না এবং ফ্রিজের মধ্যে একেবারে ঠেসে জায়গা না হলেও জিনিস রাখবেন না
- যদি আপনি ফ্রিজে কাঁচা জিনিস রাখতে চান তাহলে সেটাকে অবশ্যই পলিথিনের ভিতরে রাখবেন তাহলে শাকসবজিটা ভালো থাকবে
- তরমুজ খরমুজ কলা এগুলি ফ্রিজে রাখা ঠিক না
- ফ্রিজের মধ্যে কান পাতলা যদি আপনি যান্ত্রিক শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন এটা কম্প্রেসারের শব্দ আর যদি অন্য কোন শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন আপনার ফ্রিজের কোন সমস্যা হয়েছে মেকানিক কে ডাকবেন
- আপনার ফ্রিজ কে কখনোই দেয়ালের সাথে একেবারে মাখোমাখো করে রাখবেন না অন্তত 20 থেকে 30 সেন্টিমিটার দূরে রাখবেন যাতে করে ফ্রিজের পেছন দিয়ে বাতাস সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারে
ফ্রিজে কিভাবে খাবার রাখব
আপনারা অনেকেই ভাবছেন যে ফ্রিজে কিভাবে খাবার রাখব আর ভাবনা নয় আমি আপনাদেরকে
পাইটু পাই বিস্তারিত বলে দিব কোন খাবার কিভাবে ফ্রিজে রাখবেন যদি আপনার এটা
সম্পূর্ণ জানতে চান তাহলে দেরি না করে আমাদের লেখাটি পড়ে ফেলুন খাবারের ধরন
অনুযায়ী রাখার ধরন আলাদা হবেঃ
আরো পড়ুনঃ হাতিশুর গাছ খেলে কি হয়
কাঁচা খাবার যেভাবে সংরক্ষণ করবেনঃ
- যদি আপনি ফ্রিজে কাঁচা খাবার রাখতে চান তাহলে সেটাকে অবশ্যই পলিথিনের মধ্যে করে রাখতে হবে এক পলিথিন একবারে ব্যবহার করবেন দ্বিতীয়বার আর ব্যবহার করবেন না
- এবং খেয়াল রাখতে হবে প্যাকেটের মধ্যে যেন অতিরিক্ত বাতাস ঢোকে না যায়
- পলিথিনের মধ্যে অল্প করে খাবার রাখবেন যাতে করে সেটাকে আপনি সহজে মুড়িয়ে রাখতে পারেন
- যাদের ডিপ ফ্রিজ রয়েছে তাদের ডিপ ফ্রিজে পলিথিন রাখার তিন থেকে চার ঘন্টা পর বরফ জমে গেলে পলিথিনটাকে নেড়েচেড়ে রাখবেন যাতে করে যখন আপনি বাহির করবেন তখন আপনার জন্য সহজ হয়
কাঁচা মাংস যেভাবে সংরক্ষণ করবেনঃ
যদি আপনি বাজার থেকে গরু খাসি ভাড়া ইত্যাদির মাংস কিনে থাকেন তাহলে সেগুলিকে
অবশ্যই আলাদাভাবে রাখবেন তাহলে রান্নার জন্য আপনি সহজেই সেটাকে বার করতে পারবেন
পশু পাখি যেটাই জবাই করুন এবং যে মাংসটাই আপনি সংগ্রহ করুন না কেন সেটাকে অবশ্যই
তিন থেকে চার
ঘন্টা পর ফ্রিজে ঢুকাতে হবে ফ্রিজে ঢুকানোর আগে মাংস কখনোই ধুয়ে ফেলবেন না
ফ্রিজে ঢোকানোর আগে মাংসে যেন কোন ভাবে পানির না লাগে মাংসকে ছোট ছোট টুকরা করে
ফ্রিজে ঢুকানো উচিত যে মাংস আপনি ফ্রিজে সংগ্রহ করবেন সেটাকে তিন মাসের মধ্যে
খেয়ে ফেলায় ভালো হবে
কাঁচা মাছ যেভাবে রাখবেন ফ্রিজেঃ
আপনি যখন বাজার থেকে মাছ কিনে নিয়ে আসবেন সাথে সাথে মাছটাকে আপনার ফ্রিজে রাখা
উচিত মাছ নিয়ে এসে বড় মাছ সুন্দরভাবে ছোট ছোট টুকরা করে পানি ঝরিয়ে সুন্দরভাবে
ফ্রিজে রেখে দিবেন আর ছোট মাছ হলে সেটাকে গোটাই রাখা ভালো বড় মাছের টুকরা গুলিতে
আপনি লবণ হলুদ সাদা সিরকা কিংবা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারে এতে করে আপনার
মাছগুলো সঠিকভাবে সুন্দরভাবে ফ্রিজে থাকবে এবং সেখান থেকে আপনি বের করে রান্না
করতে পারবেন
কাঁচা সবজি এবং শাকসবজি কিভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করবঃ
- লাও কুমড়া যদি আপনি কিনে নিয়ে আসেন তাহলে সেটাকে ফালাফালা করে সুন্দর করে পলিথিনের মধ্যে জড়িয়ে ফ্রিজে রাখবেন তাহলে সেটা অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিন ভালো থাকবে
- কাঁচা মরিচ কেনার পর সেটাকে বোটা ফেলে পানি শুকিয়ে সুন্দরভাবে রাখবেন তাহলে সেটা অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন ব্যবহার করতে পারবেন
- যদি বাজার থেকে শাকসবজি কিনে নিয়ে আসেন তাহলে সেটাকে ছোট ছোট টুকরা করে সুন্দরভাবে তার পানিটাকে মুছে অর্থাৎ একটি কাপড় বিছিয়ে সেখানে রাখবেন যাতে করে পানিটা চুষে নিতে পারে এরপরে সেটা ফ্রিজে রাখবেন
- যদি আপনি আপনার ফ্রিজে শাকসবজি অনেক দিনের জন্য রাখতে চান তাহলে সেটাকে গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে এরপর পানিগুলি ঝরিয়ে একটি পলিথিনের মধ্যে ভোরে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে তাহলে এক মাস পর্যন্ত আপনি সেটাকে খেতে পারবেন
যদি আপনি কোন কিছু পোস্ট করে ফ্রিজে রাখতে চানঃ
কোন কিছু পেস্ট করার পর সেটাকে সুন্দরভাবে জমিয়ে নিতে হবে এরপরে একটা বক্সে ঢেলে
নিয়ে সেটাকে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে তাহলে আপনি সেটা একমাস জোরে খেতে পারবেন
ব্লেন্ড করা বা বাটা মসলা ফ্রিজে আপনি দুই দিনের মতন রেখে খেতে পারবেন অর্থাৎ
দুইদিন ভালো থাকবে তবে যদি আপনি সেটাকে ডিপ ফ্রিজে রাখতে চান তাহলে আবার কয়েক
মাস ধরে খেতে পারবেন যদিও এতে মসলার ঘ্রাণটা কমে যায়
রান্না করা খাবার কিভাবে ফ্রিজে রাখবোঃ
- যদি আপনি রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখতে চান তাহলে সেটাকে আপনি দুই দিনের বেশি রাখতে পারবেন না কারণ দুইদিন পরে সেটা নষ্ট হয়ে যায় আর যদি আপনি সেটাকে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন তাহলে সেটা ১৫ দিনের জন্য আপনি খেতে পারেন যদি কোন শাকসবজি রান্না করে রাখেন তাহলে সেটা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় আর যদি ভালোভাবে মাংস রান্না করে থাকেন তাহলে ১৫ দিনের বেশি খেতে পারবেন
- যে তরকারির মধ্যে আপনি কাঁচ পেয়াজ দিবেন সেটা আপনি ফ্রিজে রাখবেন না কারণ সেটা ফ্রিজে রাখলে অতি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়
- যদি আপনি ফ্রিজে খাবার রাখতে চান তাহলে এমন পাত্র নির্বাচন করবেন যার মুখ আপনি লাগিয়ে দিতে পারবেন
- যে খাবার আপনি ফ্রিজে রাখবেন সেটা অবশ্যই ফ্রিজে রাখার আগে ভালোভাবে ঠান্ডা করে নিবেন তবে ঠান্ডা হওয়ার পর খুব একটা দেরি না করে ফ্রিজে রাখবেন
ফ্রিজের রেগুলেটর পাওয়ার কতটুকু রাখবে
আমরা অনেকেই ফ্রিজ ব্যবহার করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় যে ফ্রিজের
পাওয়ারটা কতটুকু রাখবো আমি আজকে আপনাদেরকে সে বিষয়ে বলব যদি আপনারা সেটা জানতে
চান তাহলে অবশ্যই আমাদের লেখাটি পড়বেন তো চলুন বলা যাকঃ সাধারণত আমরা মানুষ
বসবাস করে থাকি দুই মৌসুমে একটা হল গরমের মৌসুম আরেকটা হল শীতের মৌসুম এখন
আমাদেরকে জানতে হবে যে গরমের
মৌসুমে আমাদের ফ্রিজের পাওয়ার কতটুকু রাখবো এবং শীতের মধ্যে পাওয়ার
কতটুকু রাখবো সে বিষয়ে আমরা জানব তো চলুন এখন আমি আপনাদেরকে সেটা বলি এখন আমি
আপনাদেরকে গরমের মৌসুমের কথা বলব গরমের মধ্যে আপনি কিভাবে কতটুকু পাওয়ার রাখবেন
প্রথমে আমাদেরকে দেখতে হবে যে আমাদের ফ্রিজের থার্মোস্ট্যাট পজিশন কত সাধারণত
ফ্রিজের পজিশন হয়ে থাকে সাত
যদি আপনাদের ফ্রিজের পজিশন ৭ হয়ে থাকে তাহলে গরমের দিনে থার্মোস্ট্যাট
পজিশন রাখবেন চারে চারথেকে আপনি বাড়িয়ে রাখতে পারেন কোনো সমস্যা নেই গরমের সময়
আপনি কখনোই চার পজিশনের নিচে নামাতে পারবেন না যদি নামান তাহলে কম্প্রেসার এর
মধ্যে আঘাত আসবে বারবার কম্প্রেসার অন হবে তখন আপনার ফ্রিজটাকে ঠান্ডা করার জন্য
সময় লেগে যাবে আর আপনার বিদ্যুৎ
বিলটা বেশি আসবে আর যাদের ফ্রিজের ম্যাক্সিমাম পজিশান হলো ১০ তারা গরমের
দিনে পজিশন রাখবেন ৬ তাহলে ঠিকঠাক মতো আপনার ফ্রিজটা ঠান্ডা থাকবে এবং অতিরিক্ত
বিদ্যুৎ বিল আসবে না
এখন আপনাদেরকে বলব শীতের সময় থার্মোস্ট্যাট পজিশন কত রাখবেন শীতের সময় যেহেতু
আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে সেজন্য আপনাদের যাদের ফ্রিজের পজিশন হলো সাত তারা
থার্মোস্ট্যাট পজিশন দুই অথবা আড়াই পয়েন্ট পজিশনে রাখবেন তাহলে আপনার ফ্রিজটা
ভালো থাকবে বিদ্যুৎ বিলটা কম আসবে এবং যাদের ফ্রিজের ম্যাক্সিমাম পজিশন হলো ১০
তারা শীতের দিনে থার্মোস্ট্যাট পজিশন রাখবেন ৩ অথবা সাড়ে তিন পয়েন্ট পজিশনে
তাহলে আপনার ফ্রিজে ঠান্ডা থাকবে এবং আপনার বিদ্যুৎ বিল খুব কম আসবে
আরো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে টাকা চুরি হলে কিভাবে উদ্ধার করবেন
উপসংহার
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা নতুন ফ্রিজ চালু করার নিয়ম - ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক
নিয়ম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন যদি আপনার এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে দেন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে
পারেন এবং আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে কপি লিংক এর মাধ্যমে শেয়ার করে দেন যাতে
করে আপনার বন্ধু বান্ধব উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url