সত্যিই কি মানুষকে বশ করা যায় - বশীকরণ কি জিনিস

প্রিয় পাঠক আজকে যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি ওপেন করেছেন তারা আসলে জানতে চাচ্ছেন যে সত্যিই কি মানুষকে বশ করা যায় অথবা বশীকরণ কি জিনিস আসলে কি এটা আদৌ সম্ভব

আজকে আমি আপনাদেরকে সে বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চলেছি যদি আপনারা সে বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাহলে আপনারা এ বিষয়ে অবগত হতে পারবেন তো চলুন আমরা সম্পূর্ণ বিস্তারিত বিষয়গুলি জেনে ফেলি

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন তারা অবশ্যই জানতে চাচ্ছেন যে মানুষকে কি আসলেই বশ করা যায় অথবা বশীকরণ কি জিনিস সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন সম্পূর্ণ বিষয়টি আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব তো আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে বশীকরণ আসলে কি বশীকরণ হলো কোন ব্যক্তিকে আপনার কোন প্রয়োজনের জন্য তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ইত্যাদি মন্ত্র ব্যবহার করে যেগুলি কোরআন ও হাদিসে নেই অর্থাৎ কুফরি কালাম করে তাকে আপনার মতে কাজ করানো এ বিষয়টা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ধরুন কাউকে আপনি পছন্দ করেন ভালবাসেন তাকে আপনি আপনার আইডিতে করতে চাচ্ছেন অথবা কোন ব্যক্তির খারাপ কোন কিছু করবেন ক্ষতি করার জন্য করতে চাচ্ছেন এটাকেই মূলত বশীকরণ বলা হয় কোন মানুষকে কুফরি কালামের মাধ্যমে নিজের বসে নিয়ে আসা এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানো এতে করে যাতে তার ক্ষতি হয় অথবা তাকে আপনি ধ্বংস করে দিতে পারেন আর্থিকভাবে বা মনের দিক থেকে ইত্যাদি দিক থেকে এটাকে বলা হয় বশীকরণ

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন যে বশীকরণের গাছ পাওয়া যায় সে বিষয়ে আপনার অনেকে জানতে চাচ্ছেন তো সেই বিষয়ে আপনাদেরকে জানতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে আসলে বশীকরণের কোন গাছ নেই এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ভুয়া একটি কথা অনেক সময় দেখবেন গাছের নিচে বা বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন মানুষ বলে থাকে যে আমি আপনাদের ওই কাজ সাধন করে দেবো যেটা আপনারা করতে চাচ্ছেন অথবা আপনার কোন সমস্যা হলে আমাদের কাছে আসুন আমরা এই গাছ দিয়ে দেবো এটার মাধ্যমে আপনি সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন এটা কোনভাবেই ঠিক নয় কারণ এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা কারণ কোন সমস্যার

 সমাধান করতে পারেন কেবলমাত্র একমাত্র আল্লাহ সুবাহানাহুওয়া তা'য়ালা বশীকরণের গাছ এটা কোন ভাবেই নেই কোন আয়াতে নেই কোন হাদিসে নেই এটা একটা বানোয়াট ভুয়া কথা যদি কোন ব্যক্তি আপনাকে বলে যেটা হল বশীকরণের গাছ এই গাছ যদি আপনি কাউকে খাওয়াইতে পারেন তাহলে আপনার ওই কাজগুলো সিদ্ধ হবে তাহলে তাকে অবশ্যই প্রতারক ভাববেন তার কাছ থেকে কোন পরামর্শ নিবেন না এ সমস্ত কার্যকলাপ থেকে আপনাকে অবশ্যই দূরে সরে থাকতে হবে যদি আপনি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন

সম্মানিত পাঠক আপনারা অনেকে ভাবছেন যে বশীকরণের মন্ত্রর বই কোথায় পাবো অথবা অনেকেরই শত্রু রয়েছে তাদেরকে কিভাবে আমরা বশ করবো সে বিষয়ে মন্ত্র কোথায় পাওয়া যায় বা মন্ত্রের বই কোথায় পাওয়া যায় এছাড়াও বিভিন্ন সময় আপনারা google এ বা ইউটিউবে সার্চ করে দেখেন যে বশীকরণের বই মন্ত্র বই কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি বই আপনারা অর্ডার করে কিনে পড়তে পারেন তার আগে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী আপনি একজন মানুষ হয়ে বিবেক দিয়ে চিন্তা করবেন যে যদি এমনটা কিছু হতো যে কোন মানুষকে এই সমস্ত বইয়ের ভোয়া তথ্য দ্বারা মন্ত্র দ্বারা বশ করা যায় তাহলে এই দুনিয়াতে কত মানুষ কত রকম ধান্দার মধ্যে থাকে কেউবা গরিব রয়েছে

 বড়লোক হতে চায় তাহলে এই গরিবগুলো কি করত এই বইয়ের মাধ্যমে মন্ত্র পড়ে বড়লোককে তার বসে নিয়ে আসতে পারতো কিন্তু আসলে তেমনটা কিছুই হয় না শুধুমাত্র আপনি যখন একটি বই ক্রয় করবেন এই মন্ত্রের আপনার টাকায় বৃথা যাবে আপনার কাছ থেকে তারা ঠকিয়ে টাকা গ্রহণ করছে এটা আপনি বুঝতে পারছেন না আপনি যখন এই সমস্ত বশীকরণের মন্ত্রের বই ক্রয় করবেন তখন আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন সম্পূর্ণ এগুলো বানোয়াট ভিত্তিহীন ভন্ডামি কথা এজন্য অবশ্যই আমাদেরকে এই সমস্ত সমস্যার দিকে দেখতে হবে এবং আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে অবশ্য যদি আপনি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন এই সমস্ত কাজ থেকে অবশ্যই নিজেকে বিরত রাখবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন

নিশ্চয়ই আপনি বশীকরণের কামাখ্যা মন্ত্র সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের পোস্টটি ওপেন করেছেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই সমস্ত কাজ করবেন না কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন যে শিরিক হলো বড় গুনাহ অনেক সময় মানুষ আবেগের মধ্যে পড়ে গিয়ে অনেক ভন্ড পীরের কাছ থেকে তারা এই সমস্ত সিঁড়ি করে থাকেন হয়তো বা কোন জায়গায় বলে যে ওই জায়গায় আপনি সিঁদুর দেন অথবা বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার জিনিস সেখানে রেখে আসেন ইত্যাদি ভাবে মানুষকে প্রতারণা করে আসছে

 মানুষ কিছু ভন্ড পীর রয়েছে যারা সরল সোজা মানুষদেরকে তাদের টার্গেট বানায় অর্থ উপার্জন করার অবশ্যই আপনি এই সমস্ত জিনিস থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন কারণ আমাদের সকলকে একজন দেখছেন তিনি হলেন আল্লাহ এবং আমাদেরকে একদিন কবরে যেতে হবে সেদিন আমাদের সাথে কেউ থাকবে না আর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যদি আপনি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে কখনোই আপনি এগুলোকে সমর্থন করবেন না কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ জঘন্যতম

 কাজ যদি কোন ব্যক্তি এ সমস্ত কাজগুলি করে তাকে তিনি শিরচ্ছেদ করার হুকুম দিয়েছেন আপনি যদি জানেন একজন দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার কর্তব্য হলো যদি আপনি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন তাহলে মানুষকে সচেতন করা যদি আপনি মানুষকে সচেতন করেন তাহলে হাজারো মানুষ এ সমস্ত প্রতারণা জাল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে

সম্মানিত পাঠক আপনি আজকে আমাদের এই পোস্টটি থেকে অবশ্যই বিভিন্ন ইঙ্গিতে বুঝতে পেরেছেন যে বশীকরণ এটা অবশ্যই আছে মানুষকে যাদুটনার মাধ্যমে বশ করা যায় এটা অবশ্যই সত্য কথা কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বলেন যে যদি কোন ব্যক্তি কাউকে জাদু করে তাহলে তার শাস্তি হলো তার শিরচ্ছেদ করে দেওয়া রাসুল বলেছেন যে এটা হল জঘন্যতম একটি খারাপ কাজ এমন খারাপ কাজ আর কোন তা নেই যদি আপনাকে কেউ বশ করে বা জাদু করে বুঝতে পারেন

 তাহলে অবশ্যই সেটাকে নষ্ট করতে হবে এজন্য বিভিন্ন আলিম রয়েছেন যারা বিজ্ঞ আলেম যারা কখনোই শিরক করেন না তাদের কাছে আপনাকে যেতে হবে যাওয়ার পরে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে আপনার গা থেকে এই সমস্ত জিনিস গুলি নামিয়ে ফেলতে হবে যেমন ধরুন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একজন নাপিত ইহুদি সে জাদু করেছিল যার কারণে রাসূল প্রতিনিয়তই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন পরবর্তীতে আল্লাহর রাসূল কে জানিয়ে দেন আল্লাহ তা'আলা যা আপনাকে জাদু করা হয়েছ একটি কুয়া রয়েছে যেখানে জাদুর জিনিসগুলি রয়েছে সেখানে যান এবং সেগুলিকে তুলেন তোলার পড়ে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস তেলাওয়াত করে আপনি সেগুলিকে নষ্ট করেন এরপরে সেখানে তিনি গিয়ে তার চুলের ভিতরে জাদু করা হয়েছিল ওই চুলের ভিতর গিট দেওয়া ছিল এক একটি গেট তিনি সূরা

 ফালাকের এবং সূরা নাসের এক একটি আয়াতের মাধ্যমে খুলে ফেলেন তো এখান থেকে আপনারা সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন যে যাদু টোনা বান বশীকরণ এগুলি অবশ্যই আছে তবে কখনোই এগুলি ইসলাম সাপোর্ট করে না ইসলামে এগুলি নেই যে ব্যাক্তি এ সমস্ত কাজ গুলি করবে তার কখনো ঈমান থাকতে পারে না আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই সমস্ত কাজগুলো করবেন না এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বিভিন্ন সূরার ভিতরে আয়াত নাজিল করে বলে দিয়েছেন সে সমস্ত সূরার অর্থগুলি পড়লে বোঝা যায় যে আসলে সমস্ত জিনিসগুলি আছে আর এ সমস্ত জিনিস করলে যে কি শাস্তি হবে ভয়াবহ সেটার বর্ণনাও তিনি বলে দিয়েছেন সুতরাং আমরা সবাই

 এ সমস্ত কাজ থেকে দূরে থাকবো এছাড়াও আপনি যাদু থেকে বাঁচার জন্য যেই সূরাগুলো গুরুত্বপূর্ণ তা হল, সূরা ফালাক সূরা নাস এটা আপনি মাগরিবের এবং ফজরের নামাজের পর তেলাওয়াত করে আপনার গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেন তাহলে জাদু থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন এছাড়াও প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবেন তাহলে আপনি এই সমস্ত যাদু থেকে বাঁচতে পারবেন যদি আপনাকে কেউ যাদু করেও থাকে তাহলে আস্তে আস্তে আপনি জাদু থেকে উঠে আসতে পারবেন আর যদি অত্যন্ত ভয়াবহ যাদু করে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন বিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হতে হবে

সম্মানিত পাঠক আজকে আপনারা সত্যিই কি মানুষকে বশ করা যায় বশীকরণ কি জিনিস ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন যদি আপনাদের কাছে আমাদের এই তথ্যগুলো ভালো লাগে এবং আপনি যদি উপকার হয়ে থাকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট টিম সাবস্ক্রাইব করে দিবেন যাতে করতে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন ধন্যবাদ