১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় - নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয়

 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় - নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয় এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় - নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয়
আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এখানে আমরা ১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় - নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যদি আপনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সূচিপত্র দেখে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন

সূচিপত্রঃ১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় - নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয়

  • শিশুর কেন সর্দি লাগে
  • সর্দি থেকে বাঁচার জন্য কি কি করতে হয়
  • কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
  • বাচ্চার জন্য স্পেশালি চিকিৎসা
  • উপসংহার

শিশুর কেন সর্দি লাগে

প্রিয় পাঠক বিশেষ করে দেখা যায় শীতের প্রথম দিকে মানুষ গরু বকরি মহিষ সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রে মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়াটা এটা স্বাভাবিক ব্যাপার বিশেষ করে শিশুরা এ সময় ঠান্ডা জনিত সর্দি কাশির সমস্যার সম্মুখীন হন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এটা হয়ে থাকে বড় মানুষের তুলনায় ছোটদের এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে যদি কখনো এমন সমস্যা হয় তাহলে ওই শিশুকে দ্রুত

 ঘরোয়া চিকিৎসা দিতে হবে আমরা অনেক সময় মনে করি যে হয়তো বা নিউমোনিয়া হয়েছে এজন্য আমরা শিশুকে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে থাকি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হয় যদি শিশুর সর্দি কাশি দেখা যায় তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ায়ে

 আপনি যদি কিছু ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট করতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনার শিশু সুস্থ হয়ে যাবে প্রাথমিক অবস্থায় ঘরেই শিশুর যত্ন নিতে হবে অনেক সুন্দর ভাবে চলতে হবে সতর্কভাবে থাকতে হবে যাতে করে বাচ্চার ঠান্ডা না লাগে এখন আমি আপনাদেরকে সেটাই বলবো যে কিভাবে আপনি আপনার বাচ্চাকে শীতের মধ্যে সুস্থ রাখবেন

সর্দি থেকে বাঁচার জন্য কি কি করতে হয়

প্রিয় পাঠক আপনি ভাবছেন যে সর্দি থেকে বাঁচার জন্য কি কি দরকার হয় বা কি কি সেবা দিতে হয় সেটা আমি আপনাদেরকে এখন বলব চলুন জানা যাকঃ
  • আপনি আপনার বাচ্চাকে সবসময় গরমে রাখার চেষ্টা করবেন
  • যদি কখনো বাচ্চার গলা ব্যথা করে তাহলে সে ক্ষেত্রে তাকে লবণ মিশে কুসুম কুসুম পানি করে গড়গড়া করাবেন যে শিশুদের বয়স এক বছরের নিচে তাদের জন্য এটা করা যাবে না
  • যতটুক প্রয়োজন ততটুক বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিবেন
  • সামান্য গরম পানি দিয়ে বাচ্চার শরীরকে মুছে দিন
  • সবসময় আপনি আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন
  • যদি এক বছর বেশি হয় বয়স তাহলে সেক্ষেত্রে ছুপ খাওয়াবেন
  • যদি বাচ্চা বয়স দুই বছরের বেশি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে দুই গ্লাস কমলালেবুর রস খাওয়াবেন
  • যদি বাচ্চার ঠান্ডা তাহলে অল্প কিছু আদা এবং মধু মিশিয়ে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ান যদি আপনার বাচ্চার বয়স এক বছর কম হয় তাহলে মধুর প্রয়োজন নেই
  • যদি আপনার বাচ্চা ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বাচ্চাকে সামান্য পরিমাণ কালোজিরা এবং কিছু রসুন এবং সরিষার তেল গরম করে আপনার বাচ্চার বুকে এবং পিঠে মালিশ করে দিবেন
  • যদি আপনার বাচ্চা ঠান্ডা লাগে তাহলে কিছু পেঁয়াজ কোর্টে সেটি পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা এরপর সেখানে দুই তিন চামচ মধু মিশ্রণ করে দিনে দুইবার খাওয়াবেন যদি বাচ্চার বয়স এক বছরের কম হয় তাহলে এমনটা করা যাবে না
  • সবচেয়ে উপকারী বিষয় হলো যদি প্রতিদিন সকালে কাঁচা রসুন দুই খাওয়াতে পারেন আপনার বাচ্চাকে তাহলে খুবই সুস্থ থাকবে
  • যদি আপনার বাচ্চা শ্বাসতন্ত্রের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকদিন এক চা চামচ লেবুর রস এবং সামান্য কিছু মধু মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান তাহলে এটা শ্বাসতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর করে দিবে এবং কফ কে দূর করে দিবে
  • যদি আপনার বাচ্চার অতিরিক্ত কাশি হয়ে থাকে তাহলে মিষ্টি খাওয়াতে পারেন কারন এটা গলার জ্বালাপোড়া কমিয়ে থাকে
  • তুলসী পাতা এবং মধু মিশ্রণ করে আপনি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন
  • এছাড়াও বেশি যদি কফ হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার বাচ্চাকে দুধ গরম করে খাওয়াতে পারেন
  • আপনি আপনার শিশুকে বাতাস পূর্ণ জায়গায় রাখবেন এবং যেখানে আলো থাকে সেখানে রাখবেন
  • এবং খেয়াল করতে হবে যে শিশু যেন নিশ্বাস নিতে কষ্ট না পায় যদি কষ্ট পায় তাহলে সে ব্যবস্থা করতে হবে
  • আপনার শিশুর নাক সব সময় পরিষ্কার করে রাখবেন
  • আপনি আপনার শিশুকে মানসম্মত অর্থাৎ পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়াবেন
  • আপনার শিশু বিশ্রাম নিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল করবেন
  • আপনার বাড়িতে কোন ধরনের পোষা পশু রাখবেন না কারণ এগুলো থেকে রোগ সৃষ্টি হয়
  • আপনার শিশুকাল সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তাই রাখবেন
  • আপনি আপনার শিশুকে ভিটামিন ডি এর ব্যবস্থা করিয়ে দিন এতে করে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং সে সুস্থ থাকবে অর্থাৎ রোদে কিছুক্ষণ রাখেন
  • শীতের পোশাক পরিয়ে রাখবেন বিশেষ করে ভোরে এবং রাতে
  • ঠান্ডা জাতীয় কোন খাবার বা পানি আপনার শিশুকে কখনোই খেতে দিবেন না
  • আশা করছি এ পর্যন্ত আপনারা বুঝতে পারলেন যে একটা বাচ্চার কি কি যত্ন করতে হয়

আরো পড়ুনঃ শীতকালীন বাচ্চাদের রোগ

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

প্রিয় পাঠক আপনি ভাবছেন যে কখন আপনার শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন অর্থাৎ কি হলে আপনার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সে বিষয়ে আমি এখন আপনাদেরকে বলবো চলুন জানা যাকঃ
  • যদি আপনার বাচ্চার কখনো চুলকানি হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন
  • এবং অতিরিক্ত সর্দির মাত্রা যদি বৃদ্ধি পায় যা কোনোভাবেই আপনি ভালো করতে পারছেন না তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান
  • যদি কখনো বাচ্চার জ্বরের তাপমাত্রা ১০৪ এর ওপরে চলে যায় তাহলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন
  • যদি কখনো আপনার বাচ্চার ঠোঁট এবং মুখ নীল ধরনের হয়ে যায়
  • যদি কখনো বাচ্চার পানি শুন্যতা মনে হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন
  • যদি কখনো বাচ্চা দেখেন যে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে তাহলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন
  • যদি কখনো বাচ্চার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রেও একজন ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন

আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের মাঝে মাঝে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ

বাচ্চার জন্য স্পেশালি চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক ভাবছেন স্পেশালি কি চিকিৎসা বর্তমান আমরা যে যুগে বাস করছি এখানে আপনার শিশুর কোন সমস্যা হলে আপনি ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারবেন বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে যেগুলিতে ভিডিও কল দিলে আপনি পরামর্শ পাবেন সাধারণত বাচ্চাদের সর্দি-কাশি লেগে থাকে

 সাধারণ সর্দি-কাশির ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় তবে বাচ্চাদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম সেজন্য সর্দি কাশি থেকে নিউমোনিয়ার দিকে যেতে পারে এজন্য আপনি কি কি ট্রিটমেন্ট করবেন তা এখন জেনে ফেলুনঃ
  • আপনি যেখানে বাচ্চা নিয়ে থাকবেন সেখানে ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকবেন
  • আপনার বাচ্চাকে ভালো রাখার জন্য টিকা প্রদান করবেন
  • যদি কখনো বাচ্চার শরীর ঘেমে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাপড় দ্বারা মুছে দিন
  • আপনি আপনার বাচ্চার হাতকে ধোয়াবেন
  • বাচ্চাকে সবসময় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন
  • বাচ্চাদের অভ্যাস সাধারণত নাকে এবং মুখে হাত দিয়ে থাকে তো তারা যেন সবসময় নাকে এবং মুখে হাত না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন
  • অবশ্যই আপনি আপনার বাচ্চাকে ধরল বালি থেকে দূরে রাখবেন

উপসংহার

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা ১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় - নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয় এ সম্পর্কে জানতে পারলেন যদি আপনার এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে কপি লিংক এর মাধ্যমে শেয়ার করুন এবং ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪