ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয় - ধর্মীয় ওসিডি থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক আমাদের দেশের প্রায় লোক ওসিডি রোগে আক্রান্ত হয়েছে আপনি যদি ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয় - ধর্মীয় ওসিডি থেকে মুক্তির উপায় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন
আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এখানে আমরা আজকে ও সি ডি রোগ আপনাদেরকে সম্পূর্ণ ডাক্তারি পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব যদি আপনারা এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ডাক্তারি পরামর্শ পেতে চান তাহলে সূচিপত্র দেখে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন
সূচিপত্রঃ ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয় - ধর্মীয় ওসিডি থেকে মুক্তির উপায়
- ও সি ডি এর অর্থ কি
- ও সি ডি হওয়ার লক্ষণ কি কি
- কি কারনে ওসিডি রোগ হয়ে থাকে
- ওসিডি রোগের ঔষধ কিভাবে খাব
- ওসিডি থেকে মুক্তির উপায় কি কি
- ওসিডি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কি করা দরকার
- শেষ কথা
ও সি ডি এর অর্থ কি
ও সিডি এর পূর্ণরূপ কি এখন আমি আপনাদেরকে বলবো: obsessive compulsive disorder
ও সি ডি হওয়ার লক্ষণ কি কি
- ওসিডি রোগ প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মহিলারা গর্ভধারণ করেন তাদের ক্ষেত্রে হয়
- ও সিডি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সে সব সময় নিজের ক্ষতি করার এবং অন্যকে ক্ষতি করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে থাকে
- সব সময় একই কাজ করা ধরুন জানালা বন্ধ করা আছে কিনা পুনরায় বন্ধ করতে যাওয়া অথচ আগে থেকে জানালা বন্ধ আছে অথবা দরজা সে বন্ধ করে রেখেছে পুনরায় আবার দরজা বন্ধ করা হয়েছে কিনা সে চিন্তায় আবার দরজার কাছে গিয়ে দেখা
- ওসিডি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার জামা কাপড় ময়লাযুক্ত হয়েছে কিনা সে চিন্তা করা কখন সে সেটাকে পরিষ্কার করবে অথচ তার জামা কাপড় কিন্তু পরিষ্কার রয়েছে
- ওসিডি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সবসময় বিকৃত যৌনাচার করা অথবা মনে মনে এমন যৌনাচারের কথা ভাববে যা সাধারণ মানুষ ভাবলে ভয় করবে অথবা সব সময় শুধুমাত্র যৌন কল্পনা করা
কি কারনে ওসিডি রোগ হয়ে থাকে
প্রিয় পাঠক এখন আমি আপনাদেরকে বলবো আসলে কোন কোন কারনে ওসিডি রোগ হয়ে থাকে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুনঃ
- ওসিডি রোগ এটা সাধারণত দেখা গেছে অনেক সময় কারো বাবা মৃত্যুবরণ করেছে অথবা মা মৃত্যুবরণ করেছে অথবা নিজের সন্তান মৃত্যু বরণ করেছে এমন কঠিন মুহূর্তে তার এই রোগটি হতে পারে এজন্য এই কঠিন সময়ে তাকে ধৈর্য সহকারে থাকতে হবে
- বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করে দেখেছেন যে যদি অতীতের কারো একই বংশে এই ওসিডি রোগ হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মে এটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- আমাদের মধ্যে কিছু মানসিক রোগী রয়েছে যাদের এই ওসিডির কারণে মানসিক রোগটা হয়েছে
- আমাদের মধ্যে অনেকের ব্রেনের মধ্যে শেরটোনিন নামক রাসায়নিক অথবা ডোপামিনের পরিবর্তনের কারণে ওসিডি হয়ে থাকে
ওসিডি রোগের ঔষধ কিভাবে খাব
প্রিয় পাঠক আপনি ভাবছেন যে আপনার ওসিডি রোগ থাকলে আপনি কিভাবে ঔষধ খাবেন চিন্তা করার কারণ নাই ওসিডির রোগ যাদের রয়েছে তারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম করবেন যাতে করে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং আপনার ঘোমটা সঠিক মত হয় যাতে করে কোন প্রকারের দুশ্চিন্তা মাথার ভিতর না ঢুকে এবং এ ধরনের রোগীদেরকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে দেখানো উচিত
আর যদি আপনি ওষুধের কথা ভাবেন তাহলে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন তিনি যেভাবে আপনাকে ওষুধ খেতে বলবেন আপনি সেভাবেই খাবেন এবং কোন ওষুধ খেতে হবে সেটা তিনি আপনাকে ভালোভাবে রেফার করবেন আমাদের মধ্যে অনেক রয়েছি যারা এ রোগ নিয়ে অনেকদিন যাবত ভুগছি কিন্তু আসলে যখন এই রোগটি শুরু হয় তখন যদি আপনি কোন চিকিৎসা করতেন তাহলে
এই লোকটি আপনার তাড়াতাড়ি সেরে যেত ডাক্তার যখন আপনাকে ওষুধ দিবে তখন এই ওষুধটি আপনাকে 6 থেকে 12 মাস পর্যন্ত খেতে হতে পারে অথবা তিন থেকে বারোমাস খেতে হতে পারে কারণ এই ওষুধটা আস্তে আস্তে কাজ করে মানুষের শরীরে আর যাদের রোগ একবারে উচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে তাদেরকে দুই থেকে পাঁচ বছর ঔষধ সেবন করতে হতে পারে
ওসিডি থেকে মুক্তির উপায় কি কি
ওসিডি থেকে মুক্তির উপায় ভাবছেন আর ভাবনা নয় আমি আপনাদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিব সেগুলো যদি আপনি ভালোভাবে পালন করতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনি এ রোগ থেকে সমাধান পাবেন সাধারণত ওসিডি থেকে রোগ মুক্তির জন্য দুই প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ করা দরকার এক সাইকোলজিক্যাল দ্বিতীয় ফার্মাকোলজিক্যাল
সাইকোলজিকালঃ
একজন বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের কাছে যারা এ রোগে আক্রান্ত তাদের যাওয়া উচিত কারণ সে আপনাকে খুব ভালোভাবে বোঝাবে এবং আপনাকে খারাপ চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবে এমন কিছু জ্ঞান আপনার মাথার মধ্যে ছুড়ে দিবে যার কারণে আপনি ওই সমস্ত বাজে চিন্তা থেকে ফিরে আসতে পারেন এবং তিনি আপনার মানসিক অবস্থাকে বিভিন্ন প্রকারের চেষ্টার মাধ্যমে পরিবর্তন করবেন এই
রোগ গুলি হলে সাধারণত রোগী বারবার হাত ধৌত করে তিনি আপনাকে এমন কিছু বলবেন আপনি এ সমস্ত কর্ম থেকে বিরত থাকবেন যে সমস্ত রোগীরা এই রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তাদেরকে তাদের বয়স অনুযায়ী কাজের উপরে মনোযোগ দেওয়া দরকার যখন সে কোন কাজের উপরে মনোযোগ দিবে তখন সে সমস্ত অহেতুক চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকবে
ফার্মাকোলজিক্যালঃ
ফার্মাকোলজিক্যাল এটা হল ঔষধ বা ফার্মাকোথেরাপি যারা এই ধরনের রোগী রয়েছেন তাদের জন্য অ্যান্টি ডিপ্রেশন খুব বড় সহায়ক এ ধরনের যারা রোগী রয়েছেন তারা বেশিরভাগ বিষন্নতা পূর্ণ চিন্তা ভাবনা করেন বিষন্ন হয়ে যান অবশ্যই তাদেরকে একজন বড় ভালো সাইকোলজিস্ট ডাক্তারের কাছে দেখানো উচিত
ওসিডি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কি করা দরকার
- যারা আপনারা এই ওসিডি রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তারা যখন কেউ আপনাকে এ সম্পর্কে পরামর্শ দিবেন তখন তাদের পরামর্শ গ্রহণ করবেন
- নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে এবং ঘুমাতে হবে কোন প্রকার নিষাদ দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না
- যদি কেউ ছয় মাস চিকিৎসা করে তাহলে এর থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তবে সুস্থ হওয়ার পরেও আবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে এজন্য পূর্ণ কোর্স টি আপনাকে সম্পূর্ণ করতে হবে
- মানসিক অশান্তি এবং উদ্বেগ কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো কৌশল গুলি আপনাকে অবলম্বন করতে হবে
- এবং বেশি পরিমাণে পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে পাক-পবিত্র থাকতে হবে
- ওসিডি আসলে এটা একটি মানসিক রোগ সে জন্য আপনাকে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে এবং অন্য মানুষ যেভাবে জীবন যাপন করে সেভাবে আপনাকে জীবন যাপন করার চেষ্টা করতে হবে তাহলে আপনি এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন
পরিশেষে এ সমস্ত যারা রোগী রয়েছেন তাদেরকে ইআরপি চিকিৎসা করা উচিত কারণ দেখা গেছে গবেষণা করে যে ইআরপি চিকিৎসার মাধ্যমে ওসিডি রোগ থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন কারণ এআরপি এর সাফল্য ৬৫% থেকে ৮০ পার্সেন্ট শুধুমাত্র ঔষধ ব্যবহার করে ৪০% থেকে ৬০% মানুষ সুস্থ হতে পেরেছে এজন্য এ চিকিৎসা করা খুবই দরকার
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয় - ধর্মীয় ওসিডি থেকে মুক্তির উপায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন যদি আপনারা আরো কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে দেন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন এবং আপনার বন্ধুবান্ধবের মাঝে কপি লিংকের মাধ্যমে শেয়ার করুন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url