গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম - গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন

 প্রিয় পাঠক আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম - গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই লেখাটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম - গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন
আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন বর্তমান সরকার গর্ভবতী মায়েদের জন্য গর্ভ ভাতা নির্ধারণ করেছেন তবে অনেকেই ভাবছেন যে এই গর্ভবতী ভাতাটা কিভাবে পাব বুঝতে পারছেন না কারণ গর্ভবতীর যদি চিকিৎসা করতে হয় বা অপারেশন করতে হয় তাহলে বহু টাকার প্রয়োজন হয় যা একজন গরিব মানুষের জন্য খুবই কঠিন ব্যাপার আজকে আমি আপনাদেরকে সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ প্রসেসিং দেখিয়ে দিব যদি আপনার এভাবে করতে চান তাহলে সূচিপত্র দেখে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন

সূচিপত্রঃ গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম - গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন

  • গর্ভবতী ভাতা কিভাবে পাওয়া যাবে
  • গর্ভবতী ভাতার টাকার পরিমান কত
  • অনলাইনে কিভাবে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করব
  • অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার কাট করার সম্পূর্ণ নিয়ম
  • উপসংহার

গর্ভবতী ভাতা কিভাবে পাওয়া যাবে

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো ভাবছেন গর্ভবতী ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় বর্তমান সরকার গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই সুব্যবস্থা করেছেন কারণ অনেকেই হতদরিদ্র মহিলা রয়েছেন যারা গর্ভবতী অবস্থায় সাধারণত যে রোগগুলি হয় বা যে সমস্যা গুলি হয় তার চিকিৎসা করার জন্য সামর্থ্য হয় না সেজন্য সরকারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যাতে করে প্রত্যেকটা মহিলা সুস্বাস্থ্য কামনা করা যায় তবে আপনাকে

 গর্ভবতী ভাতা পেতে হলে নির্দিষ্ট ফরম পূর্ণ করতে হবে অথবা অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং জেলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি গর্ভবতী ভাতা পাবেন শুধু আপনি নয় যদি আপনি সুবিধা সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনার নিকটবর্তী যত মহিলারা রয়েছে গর্ভবতী অবস্থায় তাদের কেউ বলে দেন চলুন আমরা সম্পূর্ণ প্রসেসিংটা বলি আপনি যদি

 গর্ভবতী ভাতা পেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার নিজস্ব ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে এরপর আপনার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফরম নিয়ে সেটি পরিপূর্ণ করতে হবে এবং তারপরে তাকে জমা দিতে হবে এবং গর্ভবতী ভাতা প্রকল্পের মধ্যে আপনার নাম করা দরকার এরপরে যিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি পরীক্ষা করে নির্বাচন করবেন যা আসলে গর্ভবতী

 কিনা চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করবেন তিনি যদি আপনাকে নির্বাচন করেন তবে আপনি গর্ভবতী ভাতা পাবেন যে কোন মাসের এক তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে গর্ভবতী ভাতার জন্য আপনার ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করতে পারবেন তবে এই বর্তমান প্রযুক্তির মধ্যে অনলাইনে এর ব্যবস্থা রয়েছে এখন আপনার গর্ভবতী ভাতা পাবার জন্য কি কি শর্ত সেগুলি আমি আপনাদেরকে বলবোঃ
  • যার জন্য আবেদন করবেন তার প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভবতী অবস্থান হতে হবে
  • ওই পরিবারে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকার নিচে মাসিক ইনকাম হতে হবে
  • মহিলার বয়স নিম্নতর ২০ বছর হতে হবে
  • নিজের বাসস্থান থাকতে হবে অথবা কোন ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে
  • আপনি যে সময় গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করবেন সেখানে ওই গর্ভবতী মহিলা উপস্থিত থাকতে হবে
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষেতের জমি থাকা যাবে না
  • যে ব্যক্তি আবেদন করবেন সে অবশ্যই হতদরিদ্র হতে হবে
প্রিয় পাঠক আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পেতে চান তাহলে উপরের শর্তগুলি আপনাকে পূর্ণ করতে হবে এবং আমাদের জানা উচিত যে যদি গর্ভবতী মহিলার প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তান জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা যায় তবেই আপনি তৃতীয় সন্তানের জন্য গর্ভবতী ভাতা পেতে পারেন এছাড়া তৃতীয়বার আপনি গর্ভবতী ভাতা পাবেন না

গর্ভবতী ভাতার টাকার পরিমান কত

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো ভাবছেন গর্ভবতী ভাতের জন্য আবেদন করব কিন্তু কত টাকা করে পাওয়া যাবে আমি আপনাদেরকে সে বিষয়টা বিশ্লেষণ করবো চলুন জানা যাকঃ

বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতদরিদ্র গর্ভবতী নারীদেরকে বাধা দিয়ে থাকেন বাংলাদেশ সরকার মাসিক ৮০০ টাকা হারে গর্ভবতী ভাতা দিয়ে থাকেন তা দেন ছয় মাস পরপর অথবা চার মাস অথবা 24 মাস গর্ভবতী ভাতা প্রদান করে থাকেন

গর্ভবতী ভাতা এর জন্য যিনি আবেদন করেছেন তাকে প্রতি ছয় মাস পরপর ৪৮০০ টাকা করে দেওয়া হয় এ ভাতার মেয়াদ কাল হলো দুই বছর বাংলাদেশ সরকার বর্তমান বাংলাদেশে ৮ লক্ষ্য হত দরিদ্র মেয়েদেরকে গর্ভবতী ভাতা দিচ্ছেন তবে জানা গেছে এ ভাষার মেয়র যেহেতু দুই বছর সেটাকে বাড়িয়ে তিন বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ আপনার সন্তান জন্মগ্রহণ করার তিন বছর পর্যন্ত আপনি ৮০০ টাকা হারে গর্ভবতী ভাতা পাবেন

অনলাইনে কিভাবে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করব

প্রিয় পাঠক আপনারা গর্ভবতী ভাতা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলেন এখন আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা আবেদন ফরম পূর্ণ করবেন এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যেতে হবে অনলাইনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যদি আপনি ওয়েবসাইটে যেতে চান তাহলে 

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর কি কি দরকার সেটা আমি এখন আপনাদেরকে বলবো সর্বপ্রথম আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিতে হবে এরপর আপনার জন্মস্থান লিখতে হবে আপনি কোন ধর্মের সেটা দেখতে হবে বাংলা এবং ইংরেজিতে আপনার পিতা মাতার নাম এবং স্বামীর নাম লিখতে হবে

 এ ধরনের সকল তথ্য আপনাকে দিতে হবে এরপরে যখন আরেকটি অপশন আসবে তখন আপনাকে দিতে হবে আপনার বিভাগ জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড নাম্বার পোস্ট অফিস এবং আপনি যেখানে এক্সাক্টলি বসবাস করেন স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে এবং বর্তমান ঠিকানা একই দিতে হবে এরপর আপনার অর্থনীতিক তথ্য দিবেনঃ
  • আপনার সংসারে ইনকামের মাধ্যমকে পুরুষ নাকি মহিলা
  • মাসে সঠিকভাবে ইনকাম করতে পারেন কিনা
  • নিজস্ব ফসল ফলানোর জমে আছে কিনা বা পুকুরে কোন জমি আছে কিনা
  • গর্ভবতী ভাতের টাকা আপনি কিভাবে নিবেন ব্যাংকের মাধ্যমে নাকি বিকাশের মাধ্যমে নাকি রকেট মাধ্যমে নাকি নগদের মাধ্যমে যেটার মাধ্যমে নিতে চান সেটাতে ক্লিক করুন
  • আপনার গর্ভে সন্তান এটা কত নম্বর
  • আপনার ছবি দিতে হবে
  • সেখানে যদি আপনার স্বাক্ষর বা টিপসই চায় সেটা দিতে হবে
  • যদি আপনার কোন কাগজ থাকে যেমন ধরুন মেডিকেলের কোন কাগজ টিকার কার্ড অথবা প্রত্যায়ন পত্র যাই থাকুক না কেন সেটা দিতে হবে

অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার কাট করার সম্পূর্ণ নিয়ম

যারা ভাবছেন যে অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার কাট করবেন তারা জুলাই মাসে গর্ভবতী ভাতা কার্ড করার জন্য আবেদন করবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং মেডিকেলের যাবতীয় কাগজ এবং প্রমাণস্বরূপ সবকিছু নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা উপজেলা পৌরসভায় যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে
  • সর্বপ্রথম আপনাকে বলতে হবে যে এটা প্রথম নাকি দ্বিতীয় গর্ব অবস্থা
  • যার জন্য আপনি আবেদন করবেন তার বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে
  • যিনি আবেদন করবেন তার পরিবারের মাসে আয় ১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকতে হবে
  • যদি আবেদনকারী প্রতিবন্ধী এবং হতদরিদ্র হয় সে ক্ষেত্রে সে আরও সুযোগ-সুবিধা পাবে
  • যাদের বসতবাড়ি বা বাসস্থান রয়েছে অথবা অন্যের জায়গায় থাকেন তারা গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন
  • ওপরে আমি আপনাদেরকে বলেছি জুলাই মাসে আবেদন করতে হবে তো অবশ্যই জুলাই মাসে আবেদন করবেন
  • এবং আবেদনের মধ্যে দেখাতে হবে আপনার নিজস্ব কোন খেত করার জমি নেই
  • যদি আপনার তৃতীয় গর্ভ অবস্থা হয়ে থাকে তবে শর্ত হলো আপনার প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তান যদি গর্ব অবস্থায় অথবা দুই বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে তবেই আপনি গর্ভবতী ভাতা আবারো পাবেন

আরো পড়ুনঃ ওসিডি রোগের চিরস্থায়ী চিকিৎসা

গর্ভবতী কার্ডের জন্য বা আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন সেটা আমি আপনাদেরকে এখন বলবঃ
  • সর্বপ্রথম নাগরিকত্বের সনদ পত্র
  • এরপর জন্ম নিবন্ধনের সনদ পত্র
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো বা ছবি
  • ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সনদপত্র
  • যিনি গর্ভবতী ভাতা নিবেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা বিকাশ নাম্বার অথবা নগদ নাম্বার দিতে হবে
  • যিনি ভাতা গ্রহণ করবেন তার গর্ভ অবস্থা চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে হতে হবে
  • গর্ভবতী সনদ পাওয়ার জন্য ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে

উপসংহার

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম - গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন এই সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলেন যদি আপনার এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে দেন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন এবং আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে কপি লিংক এর মাধ্যমে শেয়ার করুন ধন্যবাদ

আরো পড়ুনঃ গনোরিয়া রোগের চিকিৎসা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪