১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস - ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয়
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় এখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কি দিবস এটা নিয়ে জানার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসেছেন যে আপনি সঠিক শুনেছেন আজকে আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব
যদি আপনি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জানতে চান যে ১৪ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কি দিবস বা বিশ্ব কি দিবস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই কনটেন্টি আজকে আপনার জন্য তো চলুন আমরা দেরি না করে সম্পূর্ণ তথ্য গুলি বিস্তারিত জেনে ফেলি
সূচিপত্রঃ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস - ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয়
- ভূমিকা
- ভালবাসা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
- ভালোবাসার স্বভাবগত বিষয়
- প্রথম মানুষ প্রথম প্রেমিক
- ভালবাসার তাৎপর্য
- বেগানা মেয়ে লোকের প্রতি তাকানো হারাম
- বেগানা মেয়ে লোকের সাথে প্রেমের আলাপ হারাম
- ভালোবাসা ব্যভিচারের চাবি
- ভালোবাসা ভুলের বাসা
- আমাদের ইতিকথা
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক 14 ফেব্রুয়ারি valentines day বা ভালবাসা দিবস সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হয় valentines day বা ভালবাসা দিবস অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসপূর্ণভাবে এ দিবসটিকে স্বাগত জানাই বর্তমান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত স্কুল কলেজ আর ভার্সিটি পড়ুয়া তরুণ ছেলেমেয়েরা ঢাকা মহানগরীতে তরুণীরা হলুদ শাড়ি পড়ে মাথায় তাজা ফুল বুঝে সকাল হতেই বেরিয়ে পড়ে তার প্রিয় মানুষকে ভালবাসার উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সারাদিন তারা কাটিয়ে দেয় তাদের পছন্দের ছেলে বন্ধুদের সাথে পার্কে হোটেল রেস্তোরাঁ ফাস্টফুডের দোকানে আর বিভিন্ন আড্ডার আসরে এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন কমিটি এক বর্ণাঢ্য রেলি বের করে আয়োজন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর ওপেন কনসার্টের সারা দেশের উদযাপন করে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
ভালবাসা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রিয় পাঠক 14 ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিব সেটা আমরা পালন করে থাকি তবে আমরা অনেকে জানিনা যে এর আসল ইতিহাস কি তো আমি আপনাদেরকে এখন সেই ইতিহাসটা শোনাবো তো চলুন জানা যাক ভালোবাসা দিবসের মূল ইতিহাসঃ খ্রিস্টীয় ইতিহাস মতে এ দিবসের সূত্রপাত হয়েছিল 270 খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট ক্লোডিয়াসের আমলে সে ছিল একজন যুদ্ধবাজ সে যুদ্ধের জন্য বিরাট এক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চাইলো কিন্তু দেশের লোকেরা যুদ্ধে যেতে চাইলো না তাই সে ভাবল পুরুষরা যদি বিয়ে করতে না পারে সংসার গড়তে না পারে তাহলে তারা যুদ্ধে যেতে রাজি হবে তাই সে যুবকদের বিবাহ
আরো পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর কেন বিজয় দিবস উদযাপিত হয়
নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তার এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বিদ্রোহ ঘোষণা করল ভ্যালেন্টাইন নামে ধর্মযাজক এ সংবাদ যখন সম্রাটের কানে গেল তখন তিনি তাকে বন্দী করে কারাগারে পাঠালেন এবং অবশেষে 14 ফেব্রুয়ারি তাকে ফাঁসি দেওয়া হল সে থেকে তার ভক্ত অনুসারীরা তার স্মৃতিচারণ করে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তার নামানুসারে ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু করলো অবশ্য এটাই শেষ কথা নয় এ ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত আছে বিভিন্ন বিশ্বকোষ অধ্যায়ন করলে জানা যায় যে ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান পোপ গ্লসিয়াম কর্তৃক 14 ফেব্রুয়ারি valentines day ঘোষনার পূর্ব পর্যন্ত এ দিনটি প্রাচীন রোমানরা তাদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করতো তারা তাদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী প্রেমের দেবতা কিউপিড এর পূজা অর্চনা করত
ভালোবাসার স্বভাবগত বিষয়
প্রিয় পাঠক ভালোবাসাকে অস্বীকার করার উপায় এই পৃথিবীতে কারো নেই এটা মানুষের স্বভাবগত চাহিদা এ ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সৃষ্টির সূচনা লগ্নে আল্লাহ তাআলা সমস্ত মাখলুকের স্বভাবের মধ্যে এ ভালোবাসা রেখে দিয়েছেন তবে মানুষের মধ্যে আর অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ব্যবধান হলো এই যে জীবজন্তুর ভালোবাসার কোন নিয়ম নীতি নেই পক্ষান্তরে মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত তারা সৃষ্টির সেরা তাদের জীবন উদ্দেশ্যহীন নয় তারা নিয়ম নীতির গণ্ডির বহির্ভূত নয় মানুষের জীবনের সবকিছুর একটা সীমাবদ্ধতা আছে নিয়ম-নীতি মেনে চলার বিধান ইসলাম চায় যে
মানুষ তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে সে সীমাবদ্ধতা মেনে চলবে নিয়ম-নীতি অনুযায়ী মনের আবেগ অনুভূতিকে প্রকাশ করবে প্রেম প্রীতি ভালবাসাকে স্থান কাল পাত্র অনুযায়ী শিষ্টাচারের সাথে অত্যন্ত মার্জিতভাবে প্রকাশ করবে যেখানে সেখানে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বেহায়াপনা আর অশ্লীলতার সাথে ভালোবাসা প্রকাশ করার অনুমতি ইসলামে নেই আল্লাহতালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন আর তার মাঝে ভালোবাসার আবেগ দিয়েছেন এর জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনি
প্রথম মানুষ প্রথম প্রেমিক
আল্লাহ তায়ালা আদম আলাইহিস সালাতু সালাম কে সৃষ্টি করে ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদা করিয়ে মর্যাদার শীর্ষ আসনে আসীন করে অফুরন্ত নাজ নেয়ামত দিয়ে জান্নাতে রেখে দিলেন এত কিছুর উপর আদম আলাইহিস সালাম এর মনে একটা শূন্যতা বিরাজ করতে লাগলো জীবনের এই একাকীত্ব তার কাছে অসহনীয় হয়ে উঠল এমন সময় একদিন আদম নিদ্রা মগ্ন ছিলেন হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে গেল জাগ্রত হয়ে দেখলেন তার পাশে এক পরমা সুন্দরী নারী দেখা মাত্র তিনি তার প্রতি আকৃষ্ট হলেন ভালবাসার আবেগে তার মন উথলে উঠল তিনি তাকে কাছে পেতে প্রসারিত করতে চাইলেন ফেরেশতারা বাধা দিয়ে বলল আদম মোহরানা আদায় করতে হবে অর্থাৎ বিয়ে করতে হবে আদম বললেন মহরানা কি দিব ফেরেশতা বলল নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপরে তিনবার দুরুদ পাঠ করতে
আরো পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক দিবস কোন দিন
হবে এর মাধ্যমে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেল এরপর আল্লাহতালা তাদেরকে পরিণয়ের সূত্রে আবদ্ধ করে দিলেন এবং বললেন হে আদম যাও তুমি এবং তোমার স্ত্রী জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াও যা ইচ্ছা তা পরিতৃপ্তি সহকারে আহার করো এভাবে আল্লাহ ভালোবাসা তৈরি করে দিলেন এবং এর বিকাশের জন্য অন্যতম তিনি করে দিয়েছিলেন
ভালবাসার তাৎপর্য
প্রিয় পাঠক ভালোবাসা একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ এর অর্থ কারো প্রতি আকৃষ্ট হওয়া অনুরাগী হওয়া প্রীতিভাপন্ন হওয়া স্নেহ করা শ্রদ্ধা করা ভক্তি করা পছন্দ করা ইত্যাদি ভালোবাসা কেবল নারীর রূপ লাবণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কাম ভাব চরিতার্থ করার মাধ্যমে নয় তবে এটা এক ধরনের ভালোবাসা অনিবার্য পরিণতি এটা যদি বৈধভাবে হয় তাহলে এর জন্য রয়েছে সওয়াব আর যদি অবৈধ হয় তাহলে তার জন্য রয়েছে আজাব বৈধভাবে হলে তার সবকিছু বৈধ আর অবৈধ হলে এর কোন কিছুই বৈধ নয় ভালোবাসার একটা দৃষ্টিতে একটা কবুল হজের সব পাওয়া যায় আর এমন ভালবাসা আছে যার প্রতি
দৃষ্টিতে জিনার গুনা হয় এখন প্রশ্ন হল এমন কোন ভালোবাসা আছে যার একটা দৃষ্টির এত মূল্য তার জবাব হচ্ছে সন্তান করতে পিতা-মাতার প্রতি ভালবাসার দৃষ্টি সন্তান যদি পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে তার প্রতি দৃষ্টিতে একটা কবুল হজের স্বভাব হয় এরকমভাবে স্ত্রীর প্রতি যদি ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে সওয়াব স্ত্রীর মুখে লুকমা উঠিয়ে দেয় তাহলে সদকা ইসলাম আমাদেরকে কত সুন্দর আদর্শ শিক্ষা দিয়েছে একদিকে ভালোবাসা চাহিদা পূরণ হচ্ছে অন্যদিকে নেকীর পাল্লা ভারী হচ্ছে
বেগানা মেয়ে লোকের প্রতি তাকানো হারাম
কেউ যদি বেগানা মেয়ে লোকের দিকে তাকায় তার সাথে প্রেমালাপ করে তাহলে কোরআনে তাকে ভোট ছাড়া করা হয়েছে হে নবী আপনি বলুন মুমিনদেরকে তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত করে রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করেন এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ যা অবহিত আছেন ঈমানদার নারীদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে তারা যেন সাধারণত প্রকাশ মান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী পিতা শ্বশুর পুত্র স্বামীর পুত্র ভ্রাতা ভ্রাতুসপুত্র ভগ্নিপুত্র ইস্তিলক অধিকারভুক্ত দাসী যৌন কামনা মুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের বাড়িতে কারো সাথে সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তারা যেন প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচরণ না করে মুমিনগণ তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা করো যাতে তোমরা সফলকাম হও
বেগানা মেয়ে লোকের সাথে প্রেমের আলাপ হারাম
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন হে নবী পত্নীগণ তোমরা অন্য নারীদের মতো নও যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে পর পুরুষের সাথে কমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিরে কথা বলোনা ফলে সেই ব্যক্তি ও বাসনা করবে যার অন্তরে ব্যাধি আছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তাও বলবে শুধু তাই নয় বাঁকা চোখে কোন নারীর প্রতি তাকানোকে কোরআনের ভাষায় খিয়ানত বলা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা চোখের খেয়ানত সম্পর্কে জানেন এবং তোমরা অন্তরের যা গোপন রাখ তাও জানেন এসব আয়াতের দ্বারা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে যুবক-যুবতীরা পরস্পর হাত ধরে অভিসারে বেরিয়ে যাওয়া প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করা
তো দূরের কথা পরস্পরের প্রতি তাকানোই হারাম এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে বর্তমান যুগে আমরা রাস্তায় তো চলাচল করতে পারবো না কেননা রাস্তায় গেলেই তো কোনো না কোনো মেয়ে লোকের প্রতি দৃষ্টি যাবে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এ হাদিসে অনিচ্ছাবসত প্রথম দৃষ্টিকে ক্ষমার নজরে দেখা হয়েছে কিন্তু এরপর যতবার দৃষ্টি দেওয়া হবে ততবারই জিনার গুনাহ হবে এছাড়াও এরশাদ করা হয়েছে চোখের জেনা হল দেখা কানের জিনা হলো শ্রবণ করা মনের জেনা হল অন্তর দ্বারা চিন্তা ভাবনা করা হাতের জেনা হলে স্পর্শ করা পায়ের জেনা হল তার জন্য গমন করা
ভালোবাসা ব্যভিচারের চাবি
ভালোবাসার দুটি বাধার অর্থ হলো জিনা আর ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া তাই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে বিশ্বব্যাভিচারের দিবস বলা যেতে পারে শরীয়ত যেমন পাপ কাজে জড়িত হওয়া জিনা ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া থেকে নিষেধ করেছে তেমনি এর উপকরণ দিয়ে থেকেও বেঁচে থাকার তাগিদও করেছেন তোমরা জাহিরি বা তিনি কোন ধরনের গুনাহের কাজে যেও না এর দ্বারা বোঝা যায় যে পাপ যেমন গর্হিত কাজ তেমনি পাপের উপকরণ এর সহায়ক বিষয়ক পাপ ও ঘৃণিত কাজ আজকে যারা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করছে তারাই আবার এইডস প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনামূলক সৃষ্টির অহেতুক প্রয়াস চালাচ্ছে একদিকে মরণব্যাধি এইডস থেকে সাবধান থাকার উপদেশ দিচ্ছে অন্যদিকে ভালোবাসা
দিবসের বৈধতা দিয়ে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ সৃষ্টি করে মরণব্যাধি এইডস এর বিস্তার ঘটাচ্ছে আর সবচেয়ে সব মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনারা খেয়াল করে দেখবেন দেশব্যাপী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে এইডস থেকে বাঁচার জন্য যে উপদেশ দেওয়া আছে তাতে সুকৌশলে অপকর্মের পদ্ধতি ও শিক্ষা দেওয়া আছে এইড থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল এসব অবৈধ ভালোবাসা বন্ধ করতে হবে কেননা তথাকথিত প্রেম আর ভালোবাসা যত বাড়তে থাকবে সমাজে ব্যভিচার তত বাড়বে আজকে এই অবাক ভালবাসার পথ ধরে সমাজে অনেক অবৈধ সন্তান জন্ম নিচ্ছে কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি এসে বলল আমার বাসার সামনে কে বা কারা একটা নবজাতক পুত্র সন্তান
মৃত অবস্থায় ফেলে গেছে এখন এর দাফন কাফন কিভাবে করব এখন বলুন এটা সন্তানের জন্য মানুষ হাজার হাজার লাখ লাখ টাকা খরচ করছে স্ত্রীকে ডাক্তারের দেখাচ্ছে নিজের ডাক্তারের স্বনাপনা হচ্ছে আর অন্যজন সে সন্তানকে রাতের অন্ধকারে গলা টিপে হত্যা করে ডাস্টবিনে ফেলে যাচ্ছে প্রিয় পাঠক আপনি শুনলে অবাক হবেন যে ২৫ এপ্রিল ২০১২ দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকায় এমনই এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে প্রেমিকের বাসায় অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার আত্মহত্যা সংবাদটি পড়ে দেখলাম ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর তৃতীয় বর্ষের এক মুসলিম ছাত্রী তার সহপাঠী এক হিন্দু ছাত্রের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে পড়ে সে তাকে বিয়ের প্রস্তাব
করলে হিন্দু ছেলেটি তা প্রত্যাখ্যান করে অবশেষে মেয়েটি আত্মহত্যা করে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা করে সে পুরো মুসলিম জাতি সত্তাকে কলঙ্কিত করে এ পৃথিবী এ সমাজ থেকে চির বিদায় নিয়েছে আমার এই কথাগুলো কারো কারো কাছে অপ্রীতিকর অপছন্দনীয় মনে হতে পারে কিন্তু সত্য কথা বা সদ্য উপদেশ আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় নয় এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন আর সে যে মহিলার ঘরে ছিল ওই মহিলা তাকে পুরুষরাতে লাগলো এবং দরজার সমূহ বন্ধ করে দিল সে মহিলা বলল শুনো তোমাকে বলছি এদিকে এসো সে বলল আল্লাহ রক্ষা করুন তোমার স্বামী আমার মালিক তিনি আমাকে থাকতে দিয়েছেন নিশ্চয় সীমালংঘনকারী গণ সফল হয় নাএই ঘটনাটি হল হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাতু সালাম এর ঘটনা
ভালোবাসা ভুলের বাসা
প্রিয় পাঠক শেষ কথা এই যে আধুনিকতার নামে ভালোবাসার নামে যা কিছু ঘটছে এগুলো ভালোবাসা নয় ভুলের বাসা এ বাসার কোন স্থায়িত্ব নেই এক একটা ঝড়-ঝাপটা আসে আর এ ভুলের ভাষাকে তছনছ করে দিয়ে চলে যায় থাকে কিছু দুঃখ বেদনা আর একরাশ হতাশা ফলে এটাকে সহ্য করতে না পেরে কেউ করে আত্মহত্যা কেউবা কাউকে এসিড নিক্ষেপ করে চেহারা ঝলসে দেয় আর কেউ বা হয় গণধর্ষণের শিকার বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে শতকরা ৯০% ভালোবাসা বৃথা যায় এদের মধ্যে সর্বশেষ ভাঙ্গন লাগে বিয়ে-শাদী আর হয় না বাকি দশটার মধ্যে বিয়ে শাদি হলেও পাঁচটা ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় অবশিষ্ট পাঁচটা যদিও টিকে তথাপি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না কেননা অবৈধ পথে সুখ শান্তি আসতে পারে না
আমাদের ইতিকথা
প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বিশ্ব ভালবাসা দিবস ১৪ই ফেব্রুয়ারি valentines day এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন আশা করছি যদি জানতে পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে দিবেন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url