গরুর বাচ্চা হওয়ার পর করনীয় - গরুর বাছুরের যত্ন
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই কৃষিজীবী মানুষ আর আমাদের সমাজে বা আমাদের গ্রামে এমন কোন বাড়ি নাই যেখানে গরু নাই আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো গরুর বাচ্চা হওয়ার পর কি কি কাজ করতে হয় সে বিষয়ে
যদি আপনি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের সূচিপত্র দেখে ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণরূপে ভিজিট করুন তাহলে আপনি গরুর বাচ্চার কি কি কাজ করতে হয় আশা করি সবকিছু বুঝতে পারবেন
সূচিপত্রঃ গরুর বাচ্চা হওয়ার পর করনীয় - গরুর বাছুরের যত্ন
- গরুর বাচ্চাকতদিনে হয়ে থাকে
- গরুর বাচ্চা হওয়ার পর কি করতে হয়
- গরুকে প্রস্রাবের পর কি খাবার দেওয়া উচিত
- গরুর বাচ্চার রোগ নির্ণয়
- গরুর বাচ্চার যত্ন
- উপসংহার
গরুর বাচ্চাকতদিনে হয়ে থাকে
আমরা গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই গরুর লালন পালন করে থাকি বিষয়টা সকলেই জানি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে গরুর বাচ্চা কত দিনে হয় এবং কিভাবে হয় আজকে আমি আপনাদেরকে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব গরু সাধারণত ২৭৪ থেকে ২৯০ দিনের মধ্যে তার বাচ্চাকে ভূমিষ্ঠ করে থাকে আমি যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হল একটা গরুর পেটে তার বাচ্চা ২৭৪ দিন থেকে শুরু করে ২০৯০ দিন পর্যন্ত থাকে সাধারণত ২৮৪ দিনের মধ্যেই গরুর বাচ্চা ভুমিষ্ট হয়ে থাকে
আরো পড়ুনঃ গরুর ল্যাম্পে স্কিন ডিজিস ভালো করার উপায়
গরুর বাচ্চা হওয়ার পর কি করতে হয়
প্রিয় ভাই আমরা সকলেই কৃষিজীবী মানুষ আমাদের গরু আছে গরুর বাচ্চা হয়ে থাকে কিন্তু গরুর বাচ্চা হলে গরুর বাচ্চার কি যত্ন করতে হয় সেটা আমরা অনেকে জানিনা আজকে আমি আপনাদেরকে এই আর্টিকেল মাধ্যমে প্রকাশ করব যে একটা গরুর বাচ্চা যখন ভুমিষ্ট হয় তখন তাকে কি পরিচর্যা করতে হয় তো চলুন জানা যাকঃ
- যখন আপনার গাভীর বাচ্চা হবে তখন সেই বাচ্চাকে শুকনো খাবার দিতে হবে ভেজা খাবার দেওয়া যাবে না
- আমরা সকলে জানি গাভীর বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চার নাভি ফুলে থাকে আর যতদিন পর্যন্ত এই নাভি না ভালো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাকে ভেজা খাবার দেওয়া যাবে না শুকনো খাবার দিতে হবে যেমন ধরুন যে সমস্ত খাবারগুলি দিবেন না তাহলে ভাতের মার মাসকালের ভুসি ইত্যাদি খাবার অন্তত ১৫ থেকে ২০ দিন দেওয়া যাবে না
- গাভী যখন প্রসব হবে অর্থাৎ বাচ্চা যখন হবে তখন ওই বাচ্চাকে শুকনো খাবারের সাথে গ্রামের ভুসি মিশিয়ে সামান্য পরিমাণে হালকা পানি মিশ্রণ করে খাওয়াবেন
- যদি আপনি এই সমস্ত নিয়ম অনুসারে খাওয়াতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আশা করছি আপনার গাভীর বাচ্চা সুস্থ থাকবে
গরুকে প্রস্রাবের পর কি খাবার দেওয়া উচিত
প্রিয় ভাই আমরা সকলেই কৃষিজীবী মানুষ আমাদের গরু আছে গরুর বাচ্চা হয়ে থাকে কিন্তু গরুর বাচ্চা হলে গরুর বাচ্চার কি যত্ন করতে হয় সেটা আমরা অনেকে জানিনা আজকে আমি আপনাদেরকে এই আর্টিকেল মাধ্যমে প্রকাশ করব যে একটা গরুর বাচ্চা যখন ভুমিষ্ট হয় তখন তাকে কি পরিচর্যা করতে হয় তো চলুন জানা যাকঃ
- যখন আপনার গাভীর বাচ্চা হবে তখন সেই বাচ্চাকে শুকনো খাবার দিতে হবে ভেজা খাবার দেওয়া যাবে না
- আমরা সকলে জানি গাভীর বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চার নাভি ফুলে থাকে আর যতদিন পর্যন্ত এই নাভি না ভালো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাকে ভেজা খাবার দেওয়া যাবে না শুকনো খাবার দিতে হবে যেমন ধরুন যে সমস্ত খাবারগুলি দিবেন না তাহলে ভাতের মার মাসকালের ভুসি ইত্যাদি খাবার অন্তত ১৫ থেকে ২০ দিন দেওয়া যাবে না
- গাভী যখন প্রসব হবে অর্থাৎ বাচ্চা যখন হবে তখন ওই বাচ্চাকে শুকনো খাবারের সাথে গ্রামের ভুসি মিশিয়ে সামান্য পরিমাণে হালকা পানি মিশ্রণ করে খাওয়াবেন
- যদি আপনি এই সমস্ত নিয়ম অনুসারে খাওয়াতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আশা করছি আপনার গাভীর বাচ্চা সুস্থ থাকবে
গরুর বাচ্চার রোগ নির্ণয়
প্রিয় পাঠক এখন আমি আপনাদেরকে বলবো গরুর বাচ্চা হওয়ার পর তার রোগ কিভাবে নির্ণয় করবেন আর অনেকেই জানিনা যে গরুর বাচ্চার রোগ কিভাবে নির্ণয় করতে হয় যদি আমরা নির্ণয় করতে নাই পারি তাহলে তার চিকিৎসা কিভাবে করাবো টেনশনের কোন কারণ নাই আমি আপনাদেরকে সে সমস্ত রোগের কথা বলব যা গরুর বাচ্চা সাধারণত হয়ে থাকে ঃ
- পাতা ক্রিম
- কাপ স্কাউয়ার
- ফিতা কৃমি
- নাভির রোগ
- গোল কৃমি
- সালমোনেলসি
- বসন্ত রোগ
- ডিপথেরিয়া রোগ
- জল তাং রোগ যা কুকুর কামড়ালে হয়ে থাকে
- সাধারন নিউমোনিয়া
- খোঁড়া রোগ
- বাদলা রোগ
- ধনুষ্টংকার রোগ
- গলা ফোলা রোগ
আরো বেশ কিছু রোগ রয়েছে যেগুলি আপনারা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ভেটেনারি সার্জনকে দেখান তাহলেই আপনার গরুর বাচ্চা ইনশাল্লাহ সুস্থ থাকবে
গরুর বাচ্চার যত্ন
এখন আমি আপনাদেরকে বলবো গরুর বাচ্চার যত্ন কিভাবে নিবেন যদি আমি আপনি গরু বাচ্চার যত্ন না নিতে পারি তাহলে গরুর বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়বে তাই গরুর বাচ্চার জন্য যতটা খুবই দরকারঃ
গর্ভাবস্থায় গাভীর পুষ্টি এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাঃ
অত্যন্ত দক্ষশীল ভেটনারী সার্জন দ্বারা পরীক্ষিত তিনি বলেন যে একটা গরুর বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য তার শেষের তিন মাস তাকে কি খাওয়ানো হয়েছে ভালো নাকি মন্দ সেটার উপরে নির্ভর করে তাই একটা গরুর বাচ্চা জন্মের পরে আপনাকে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে যে তার ওজন কত হয়েছিল যাতে করে তার ওজনের ওপর ভিত্তি করে আপনি গরুর বাচ্চার যত্ন নিতে পারেন এবং তাকে পরিষেবা দিতে পারে
প্রসবের সময় কোন রকম কষ্ট ছাড়াই গরুর বাচ্চা প্রসব করানোঃ
গবেষণা করে দেখা গেছে আমাদের সমাজে ৫০% এর বেশি বাচ্চা মারা যায় শুধুমাত্র গরুকে প্রসব করানোর সময় ভালোভাবে প্রসব না করে কারণ এই প্রসবের সময় যে কষ্ট গরুকে দেওয়া হয় তার কারণে গরুর দুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং বাছুরটা দুধের কারণে দুধ না পাওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করে থাকে এজন্য আপনার গরুর যখন বাচ্চা হবার সময় হবে তখন অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে আপনার গরুর বাচ্চা ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করবেন
গরুকে দেখাশোনার পাশাপাশি বাচ্চাকে দেখার শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবেঃ
একটা বাছুর যখন ভুমিষ্ট হয় তখন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত তার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পাশাপাশি তার মায়েরও যত্ন নিতে হবে কারণ ওই সময় অনেক কাজ থাকে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে সে কাজগুলি করতে হয় যেমন ধরুন নাভির কর্ড কাটতে হয় এবং বাচ্চার চোখে মুখে এবং নাকে যে সমস্ত ময়লা থাকে সেগুলি পরিষ্কার করে দিতে হবে
গরুর বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়ানোঃ
আপনি জানলে অবাক হবেন যে শাল দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে একটা গরুর বাচ্চাকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কেননা যখন বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে তখন তার মায়ের রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি দূর হয় না কেননা এই সাল দুধের মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত অ্যান্টি বডি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেগুলি গরুর বাচ্চার জন্য খুবই প্রয়োজন গরুর বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে শালদুধ
খাওয়াতে হবে অন্য কোন কিছু খাওয়ানো যাবে না এজন্য গরুর বাচ্চা হওয়ার পরে তাকে মায়ের স্তন থেকে দুধ খেতে দিতে হবে অথবা যদি সে মায়ের স্তন থেকে দুধ না খেতে পারে তাহলে তাকে ফিডারের মাধ্যমে খাইয়ে দিতে হবে নতুবা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না
শাল দুধ বেশি পরিমাণে সংরক্ষণ করা দরকারঃ
আমরা এতক্ষণ বুঝতে পারলাম যে একটা বাচ্চাকে গরুর বাচ্চাকে যদি সচল রাখতে চান তাহলে শাল দুধের কোন বিকল্প নেই এজন্য আপনি অবশ্যই বাচ্চার জন্য বেশি পরিমাণে শাল দুধের ব্যবস্থাপনা করে রাখবেন এতে কি হয় এতে হল এশাল দুধ খাওয়ানোর কারণে বাচ্চার ঘামাচি বের হয় না এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় না পরবর্তীতে যখন ওই বাচ্চাকে স্টার্টার খাওয়ানো হয় তখন তার ওজনটা সহজে বৃদ্ধি পায় এবং এই শাল দুধ শুধুমাত্র গাভীর বাচ্চার জন্য উপকারী নয় মানুষের জন্য ব্যবহার করা হয় প্রাপ্তবয়স্কদের যদি ডায়রিয়া হয় অথবা শিশুদের যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়
যত তাড়াতাড়ি পারবেন বাচ্চাকে দুধ ছাড়তে হবেঃ
আমরা অনেক কৃষকরা আছি যারা মনে করি যে গরুর বাচ্চাকে যত বেশি দুধ খাওয়ানো যায় ততই ভালো কিন্তু এটা ঠিক নয় যত তাড়াতাড়ি আপনি দুধ খাওয়া ছাড়াতে পারবেন ততটাই আপনার জন্য লাভজনক কারণ দুধ ছাড়ানোর সাথে সাথে তাকে স্টার্টার খাবার দিতে হয় আর এই স্টার্টার খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করলে সে যখন এটা খেতে শুরু করবে তখন ওই বাছুরটা ওই বাচ্চাটা অতি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে এবং সেটাতে আপনি লাভ করতে পারবেন
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা
উপসংহার
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা গরুর বাচ্চা হওয়ার পর করনীয় - গরুর বাছুরের যত্ন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন যদি আপনারা এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে দেন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন এবং আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে কপলিং এর মাধ্যমে শেয়ার করুন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url