বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয় - বাচ্চাদের রুচির সিরাপ কোনটা ভালো
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এসেছেন আজকে আমরা এখানে বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয় - বাচ্চাদের রুচির সিরাপ কোনটা ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব
সাধারণত কোন কোন কারণে বাচ্চারা খেতে চায় না সে ক্ষেত্রে কি কাজ করবেন বা কোন ওষুধ কি খাওয়াবেন সে বিষয়ে ভাবছেন তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য চলুন জেনে যাক
প্রিয় পাঠক এ বিষয়ে নানান দিক রয়েছে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এটা প্রায় শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তবে এর পেছনের কারণ হলো শিশুর মনের এবং শরীরে উভয়টার সমস্যা রয়েছে যখন একটা বাচ্চার জন্ম হয় তখন ওই বাচ্চাটি শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেয়ে নিজের ক্ষুধা নিবারণ করে এরপর আস্তে আস্তে তাকে অন্য কিছু খাবার দিতে শুরু করে যেহেতু মায়ের বুকের দুধ খেয়েছে তার এক রকম সাধ রয়েছে অন্যদিকে যে খাবার তাকে নতুনভাবে দেওয়া হচ্ছে সেটিরও ভিন্ন স্বাদ রয়েছে যে সাপটা তাকে গ্রহণ করতে সময় লাগে যার কারণে বাচ্চা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় খুব কম পরিমাণে খায় এরপরে পিতা মাতা জোরজবস্তি করে বাচ্চাকে খাওয়াতে শুরু করে এর কারণে বাচ্চার ক্ষতি হয় বাচ্চার খাবারের প্রতি একদম অমনোযোগ চলে আসে এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আজকের শিশুরা মোবাইল দেখে খেতে অভ্যস্ত কারণ হলো একজন শিশু যখন মোবাইল দেখতে শুরু করে তখন সে বুঝতে পারে না যে সাদ কি আর খাবারটা কি এজন্য সে আনন্দের সহিত সম্পূর্ণ খাবার গ্রহণ করবে
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের চর্মরোগ হলে কি করনীয়
বাচ্চাকে কোন ধরনের খাবার দিব না
কখনোই আপনি আপনার বাচ্চাকে এক ধরনের খাবার দিবেন না যদি আপনার বাচ্চাকে এক ধরনের খাবার প্রতিনিয়ত দেন তাহলে ওই খাবারের প্রতি তার অনীহা ভাব চলে আসবে আর যখন আপনি তাকে প্রতিদিন ভিন্ন রকমের খাবার দেবেন ধরুন একদিক দিলেন মাছ অন্যদিন দিলেন মাংস আমার অন্য দিন দিলেন ডিম এভাবে যদি দেন তাহলে তাহলে আপনার বাচ্চার খাবারের রুচি ঠিক থাকবে সে খাবার গ্রহণ করবে
খাবারের দ্বিতীয় ধরন
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা বেশি পরিমাণ খাবারকে তরল করে দিই অথবা বিলিড করে দিই আবার কিছু খাবার রয়েছে যার ঘরত্ব বাড়ায় যার কারণে খাবারের কি স্বাদ রয়েছে সেটা বাচ্চা বুঝতে পারে না যার কারণে সে খেতে চায় না অথবা যদি বেশি ঘন খাবার হয়ে যায় তাহলে বাচ্চা মুখ দিয়ে গলার নিচে নামাতে সক্ষম হয় না
মায়ের দুধের পাশাপাশি কি খাবার দিবেন
আপনারা জানেন যে বাচ্চাদের পাকস্থলী খুব ছোট হয় যার কারণে দুধ খেলে সেটি ভারী হয়ে যায় যার কারণে ভারি খাবার দিলে বাচ্চা খেতে চায় না কারণ দুধ খেলে তাদের অর্ধ পেট এর বেশি ভর্তি হয়ে যায় অনেক বাবা মা মনে করেন যে তার বাচ্চাকে পেট ভরে খাওয়ালোই তার কাজ তাই পেট ভরে তার বাচ্চাকে খাওয়ানোর সর্বপ্রকারের চেষ্টা করে থাকে মনে করে যে তার মনে হলো যে বাচ্চাটির পেট ভরেনি যার কারণে তাকে খাওয়ানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা করল কিন্তু তাকে বোঝা উচিত যে যতটুকু পরিমাণ তার খাওয়ার দরকার ছিল সে খেয়ে ফেলেছে এর বেশি শেয়ার খেতে পারবে না যদি আপনি তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে বাচ্চা পরবর্তীতে আর খেতেই চাইবে না
যে সমস্ত খাবার বাচ্চারা বাহিরে গিয়ে খায়
বাচ্চাদের জন্য নানান ধরনের খাবার কোম্পানিগুলো তৈরি করেছে তবে সব খাবারের খাবার কিন্তু আপনার বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না কোম্পানির মান নির্ণয় করে আপনি আপনার বাচ্চাকে খাবার দিবে বাহিরের খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানোর খুবই কম চেষ্টা করবেন কারণ যখন আপনি আপনার বাচ্চাকে জুস ললিপপ চকলেট চিপস ইত্যাদি ধরনের খাবার দিবেন তখন তার রুচি নষ্ট হয়ে যাবে যত বেশি আপনি আপনার বাচ্চাকে বাহিরের খাবার খাওয়াবে তত বেশি তার বাড়ির খাবারের প্রতি মন মানসিকতা উঠে যাবে এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম দেখতে হবে যে আপনি যে বাড়িতে যে খাবারটা তৈরি করছেন এর কোন খাবারটা সে সবচেয়ে বেশি খাচ্ছে যখন দেখবে যে বাড়িতে যে খাবারটা তৈরি করছেন ওই খাবারের
প্রতি তার আগ্রহ বেশি তখন তাকে ওই খাবারটা বেশি পরিমাণে দেওয়ার চেষ্টা করবেন অর্থাৎ তাকে প্রতিনিয়ত দেওয়ার চেষ্টা করবে এছাড়াও আপনার মনে থাকা উচিত যে বাচ্চাকে আপনাকে বুদ্ধি করে খাওয়াতে হবে যেহেতু আপনার বাচ্চার জন্য দৌড় ডিম কলা এগুলো অত্যন্ত ভালো এবং এগুলোর মধ্যে প্রোটিন রয়েছে যার কারণে খাবারগুলো খাওয়ানো দরকার এজন্য সেগুলো একত্রে মিশিয়ে পুডিং তৈরি করে দিতে হবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মাছ মাংস খেতে চাই না সে ক্ষেত্রে নুডুলসের সাথে মাছ মাংস খেতে দিতে পারবেন
আরো পড়ুনঃ শীতকালে বাচ্চাদের কি কি রোগ হয় জানুন
বাচ্চাকে ক্ষুধা কিভাবে লাগাবেন
যাতে করে আপনার বাচ্চার ক্ষুধা তাড়াতাড়ি লাগে সেই কাজ আপনি কি করতে হবে কারণ যখন তার ক্ষুধা লাগবে তখন সে নিজের থেকেই খাইতে চাইবে যার কারণে তার শরীরের জন্য খুবই ভালো হবে এজন্য বাচ্চাকে খেলাধুলা করতে দিতে হবে হাটাহাটি করতে দিতে হবে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে যেকোনো খেলা বা যেকোনো কাজ এর মধ্যে ঘোরাঘুরি ইত্যাদি কাজগুলি করলে যাতে করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ক্ষুধা লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
ডাক্তারের পরামর্শ
যখন দেখবে যে আপনার শিশু একেবারেই খাইতে চাচ্ছে না বা আপনি যতই তাকে ভাল খাবার তার বোন পছন্দ অনুযায়ী খাবার দিচ্ছেন তবুও শেখাচ্ছে না যার কারণে সে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যাতে করে সে আপনার বাচ্চার কি রোগ হয়েছে বা সে কি জন্য খায় না সে ওষুধ দিতে পারে
ইতিকথা
সবারই তো দর্শক আজকে আমাদের এই আলোচ্য বিষয় ছিল বাচ্চাদের খাওয়া বিষয় যদি আপনারা আমাদের এই তথ্য থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে দিবেন যাতে করে পরবর্তী নোটিফিকেশন আপনি পেতে পারেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url